যারা অনলাইনে পণ্য কেনাবেচায় আস্বাভাবিক অফার দিচ্ছে তাদের নজরদারিতে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়ন করা হবে।
বুধবার (২ জুন) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস ই-কমার্স কোম্পানির অস্বাভাবিক অফার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা অনলাইন ব্যবসা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, একটা ফ্রিজের দাম দেড় লাখ টাকা কিন্তু অফার দেওয়া হচ্ছে ৮০ হাজার কিংবা ৭৫ হাজারে। হয়তো ১০ বা ২০ জনকে দেয়। ৫০০ মানুষ আবেদন করবে। তাদের বলবে, অমুক দিন দেব। আমরা আশঙ্কা করছি হয়তো সে (ই-কমার্স কোম্পানি) গা ঢাকা দেবে। যেটা যুবক করেছে।
এছাড়া মন্ত্রী আরো বলেন, গুগল ও অ্যামাজন ভ্যাটের আওতায় এসেছে। রেজিস্ট্রেশন করেছে। অন্যান্য যারা করেনি তারাও রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসুক আমরা এটা চাই। অনেকেই ভালো কাজ করছেন। কিন্তু কেউ কেউ মিথ্যাচার করছে। এটা স্বাভাবিক জীবনযাত্রার জন্য হুমকিস্বরূপ। রেজিস্ট্রেশন থাকলে ইউটিউব, ফেসবুকের রেজিস্ট্রেশন থাকলে আমরা ধরতে পারব। এখন কে কোথা থেকে করে পাওয়া যায় না। তখন যিনি অপরাধ করবেন তিনি জবাবদিহিতার আওতায় আসবেন।
৬ষ্ঠ বৈঠকে সিদ্ধান্ত থেকে আরো জানা যায়, বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা বিজ্ঞাপন দেয় কীভাবে টাকা পরিশোধ হয় সেটা বৈধ পথে যায় কি না, এসব তথ্য জানাতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুগলের অফিস বাংলাদেশে না থাকায় অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বাংলাদেশে অফিস করার অনুরোধ করেছি। যদি অফিস না করে বিকল্প কী করা যায় সেটা ভাবা হবে। আমরা চাই, সবাই আইনের মধ্যে থাকুক।
উক্ত বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালভাবে ও সশরীরে বৈঠকে অংশ নেন।
প্রেস ব্রিফিং
আরো দেখুন, অনলাইনে পণ্য কেনাবেচায় প্রতারিত হলে যা করনীয়