শ্যাডো নিউজ:
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘একুশে পদক’ দিয়ে আসছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন দুই লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ২০ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০২০ সালের একুশে পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এবারের পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম প্রকাশ করে। যুগ্মসচিব মো. ফয়জুর রহমান ফারুকীর স্বাক্ষরে এ বছর একুশে পদক প্রাপ্ত ২০ গুণী ও এক প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়

শিল্পকলায় অবদান রাখার জন্য এবার একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে:
- সংগীতে বেগম ডালিয়া নওশিন, শঙ্কর রায় ও মিতা হককে।
- নৃত্যে মো. গোলাম মোস্তফা খান,
- অভিনয়ে এম এম মহসীন এবং
- চারুকলায় শিল্পী ফরিদা জামানকে
ভাষা আন্দোলনে: আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর)।
মুক্তিযুদ্ধে (মরণোত্তর): হাজি আক্তার সরদার, আব্দুল জব্বার, ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার)।
সাংবাদিকতায়:জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর)।
গবেষণায়: ড. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ কারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ।
শিক্ষায়:অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া।
অর্থনীতিতে: অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
ভাষা ও সাহিত্যে: ড. নুরুন নবী, মরহুম সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ও বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি।
চিকিৎসায়: অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার
এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গবেষণায় একুশে পদক পাচ্ছে বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনিস্টিটিউট।
একুশে পদক বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পদক বিজয়ীদের হাতে একুশে পদক তুলে দেবেন।