২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এমন একটি ভাইরাস যেটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে। যেকারণে হাসপাতালের চিকিৎসকগন রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারাও যাচ্ছেন।
এবার মহামারি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে ‘ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম’ নামের একটি রোবট তৈরি করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল প্রাক্তন শিক্ষার্থী। রোবটটি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্যপ্টেন সেতারা বেগম নামের এই রোবট ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে যেকোন জায়গা থেকে রোগীদের কাছে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং খাবার নিয়ে যেতে পারবে। রোবটটি এক থেকে দেড় ঘণ্টা কাজ করতে সক্ষম।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, “মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষায় সফল হলে রোবটটি তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে। এতে সামান্য কিছু মোডিফিকেশনের দরকার আছে। তারা সেগুলো করলে রোবটটি বাস্তব ক্ষেত্রে সফল ভূমিকা রাখতে পারবে।”
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বাংলাদেশ’ এর সদস্যদের তৈরি রোবটটি মুক্তিযোদ্বা ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. সেতারা বেগমের নাম অনুসারে তৈরি করা হয়েছে।
উদ্ভাবক দলের প্রধান ফারজাদুল ইসলাম বলেন, “রোবটটি সেন্সরের সামনে রোগীর মাথা রাখলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী মনিটরে দেখা যাবে। এতে বিশেষ ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও স্পিকার সংযুক্ত করা আছে। যার মাধ্যমে রোগীর সাথে যোগাযোগ ও তথ্য আদান প্রদান করা যাবে। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে যে কোন স্থান থেকে একে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।”
এছাড়া ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বাংলাদেশ’ এর তৈরি এই রোবটে রয়েছে বিশেষ ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও স্পিকার সংযুক্ত করা। যার মাধ্যমে রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ ও তথ্য আদান প্রদান করা যাবে। এটি ৫-১০ কেজি ওজন বহন করতে পারবে। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ট্রায়াল শেষে বাণিজ্যিকভাবে এটি তৈরি করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের মার্চে চীনের উহানের স্বাস্থ্য দফতর এবং চীনা একাডেমি অব সায়েন্স রোগীদের চিকিৎসা দিতে প্রশিক্ষণ দেয়া ৫-জি পাওয়ারের রোবট নিয়ে আসে।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
আইইডিসিআর এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪০১ জনের করোনা শনাক্ত এবং ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৬০ জন। মোট মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৬১ জন।
ওয়াল্ড মিটারের তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার ৬৩৫ জন।
আপনার মতামত দিন