শ্যাডো নিউজঃ করোনা প্রতিরোধে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে দেশের সরকারি পর্যায়ে প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ৩ ঘন্টা ব্যাপি অনুষ্ঠিত হলো মতবিনিময় সভা। অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়াও সভাপতি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন,তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
শক্রবার আয়োজিত কনফারেন্সটি জুম অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। আয়োজিত কনফারেন্সে গণমাধ্যমকর্মীসহ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সরকারি-বেসরকারিসহ ১০০জনেরও বেশি কর্মকর্তা সরাসরি যোগ দেন।
আয়োজিত সভার প্রধান অতিথি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, জুনায়েদ আহমেদ বলেন, “এসওপি স্টান্ডার্ড অপারেশনস প্রসেডিওর (এসওপি) এবং বিজনেস কন্টিনিউটি প্লান (বিসিপি) এই দুটি ডকুমেন্ট তৈরি করার উদ্দেশ্যে এই মতবিনিময়। পরিস্থিতি যদি দ্রুত ভাল হয়ে যায় তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই তবে যদি খারাপ হয়ে যায় তাহলে তার জন্য এই প্রস্তুতি। যদিি ৩১ মার্চের মধ্যে পরিস্থিতি ভাল হয়ে স্বাভাবিক হয় তাহলে তো আর দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু যদি কোনো কারণে পরিস্থিতি কনটিনিউ করে তাহলে ভাববার রয়েছে, প্রস্তুতির বিষয় আছে”।
যদি কয়েক মাস বা আরও বেশি দিন এমন চলে তাহলে স্কুল -কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বাড়িতে বসে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ফুড ডেলিভারি, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, জরুরি প্রয়োজনে জিনিসপত্র সরবরাহ যেন স্বাভাবিক রাখা যায় সে প্রস্তুতি নিতে হবে। লজিস্টিক ঠিক রাখা এবং সেটিম কীভাবে হবে তার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। আর এজন্যই সবাইকে নিয়ে এই মতবিনিময়।
“করোনাভাইরাসের কারণে মোবাইল ফোনের অপারেটরসহ বেসরকারি বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি যে হোম অফিস চাল করার উদ্যোগ নিয়েছে এ জন্য সাধুবাদ জানিয়ে পলক বলেন, “এতে সবার সুরক্ষার পাশাপাশি কার্যক্রমের চাকাও সচল থাকছে। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো যেন জনগণকে করোনা সতর্কতা ও সচেতনার বার্তা পৌঁছাতে ভূমিকা রাখে এই আহবান জানান তিনি”।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, ওষুধ, খাবার, নিত্যপণ্য ও শিক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার সঙ্গে মানুষ যেন ঘরে বসে বোরিং বা বিরক্ত না হয়ে যায় তার জন্য বিনোদনের বিষয়টিও ভাবতে চান প্রতিমন্ত্রী। স্থানীয় অনলাইন এন্টারটেইনমেন্ট প্লাটফর্মগুলো এই সময়ে তাদের অনুষ্ঠান-কনটেন্ট বিনামূল্যে দিতে পারে কিনা সেটিও দেখা হবে।
অনুষ্ঠিত সভার সভাপতি, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব, এন এম জিয়াউল আলম বলেন, “ঘরে বসে নাগরিকদের সেবা নিশ্চিতে অনেক প্রস্তুতিই রয়েছে। সরকারি দপ্তরে এখন ই-নথি রয়েছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে ইতোমধ্যে এই খাতে অনেক কিছু করা সম্ভব হয়েছে বলেন তিনি”।
গতকাল আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, গ্রামীণফোন সিইও ইয়াসির আজমান, বাংলালিংকের সিসিআরএও তাইমুর রহমান, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান সোনিয়া বশির কবীর, এটুআইয়ের ইএম সলিউশনস আর্কিটেক্ট অ্যান্ড ই-কমার্স টিম লিড রেজওয়ানুল হক জামি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি, এনজিও খাতের উদ্যোক্তা ও প্রতিনিধিসহ আরও অনেকে।