হিমালয় রেঞ্জের অন্যতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা । পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ও কে-টু’র পরেই কাঞ্চনজঙ্ঘার অবস্থান। অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি যার পরিচিত রয়েছে খুনি পর্বত হিসেবে। যার তুষার শুভ্র রূপের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে অজানা শঙ্কা, চমকপ্রদ ইতিহাস ও নানা উপকথা। আজ জানবো, হিমালয়ের দ্বিতীয় ও পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের সাতসতেরো।
কাঞ্চনজঙ্ঘার সৃষ্টিকথা
বর্তমান পৃথিবীর ৭টি মহাদেশ অতীতে এক অতিকায় মহাদেশ গন্ডোয়ানা আকারে একসাথে ছিল। কিন্তু পৃথিবীর টেকটনিক প্লেটের গতিশীলতার কারণে প্রায় ৪ কোটি বছর আগে ভারতীয় উপমহাদেশ গন্ডোয়ানা থেকে পৃথক হয়ে যায়। এই বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড পরবর্তীতে আরো ৩ কোটি বছর সমুদ্রে ভেসে প্রায় ৪ হাজার মাইল অতিক্রম করে। এই দূরত্ব অতিক্রমকালে এটি প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি করে উত্তর দিকে সরে যেতে থাকে। এভাবে এক সময় ভারতীয় উপমহাদেশ গতিশীল অবস্থায় সমুদ্রে ভেসে এশিয়া ভূখণ্ডের সাথে এসে ধাক্কা লাগে। এই শক্তিশালী ধাক্কার কারণে দুই পাশের ভূমি ভাঁজ হয়ে কুচকে গিয়ে উপরে উঠে যায়। এর ফলে সৃষ্টি হয় হিমালয় পর্বতমালা। বর্তমান এশিয়া মহাদেশের প্রায় ১৫,০০০০ মাইল জুড়ে বিস্তৃত হিমালয় পর্বতমালা। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ১৪ টি পর্বতশৃঙ্গ এই অঞ্চলে অবস্থিত। যার মধ্যে অন্যতম কাঞ্চনজঙ্ঘা।
কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গটি নিউপ্রোটেরোজোইক (প্রেমেম্ব্রিয়ান প্রয়াত যুগ) থেকে অর্ডোভিশিয়ান যুগের প্রাচীন শৈল দিয়ে গঠিত। কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গটি যে শৈল দ্বারা গঠিত তার আনুমানিক বয়স প্রায় ৪৫৫ মিলিয়ন থেকে ১ বিলিয়ন বছর। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এই শৃঙ্গের উচ্চতা ২৮ হাজার ১৬৯ ফুট বা ৮ হাজার ৫৮৬ মিটার।
কাঞ্চনজঙ্ঘার খুঁটিনাটি
যদি উচ্চতাকে মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সেক্ষেত্রে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে নাম আসে এভারেস্টের। অতীতে সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে উচ্চারিত হতো কাঞ্চনজঙ্ঘার নাম। ১৮৫২ সাল এর আগ পর্যন্ত পর্বতারোহীরা কাঞ্চনজঙ্ঘাকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ বলে ধারণা করতেন। তবে সে ধারণা বদলে যায় ১৯৫০ এর দশকে। ১৯৪৯ সালে ভারতের এক বৃহৎ ত্রিকোণমিতিক জরিপে জানা যায় হিমালয় রেঞ্জের আরেক পর্বত এভারেস্টের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার। যা ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘার উচ্চতার থেকে ২৬২ মিটার বেশি উঁচু। আচমকা সকলের সামনে আসা বিষয়টি নিয়ে কয়েক বছর ধরে চলে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ। বহু পুনঃনিরীক্ষণের পরে ১৮৫৬ সালের মার্চ মাসে কলকাতা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় যে কাঞ্চনজঙ্ঘা পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ।
কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রথম জ্ঞাত মানচিত্রটি ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে তৈরি। রিঞ্জিন নামগিয়াল নামে একজন পন্ডিত প্রথম কাঞ্চনজঙ্ঘার বৃত্তাকার স্কেচ তৈরি করেছিলেন। পূর্ব হিমালয় অঞ্চলে উত্তর-পূর্ব ভারতের সিকিম রাজ্য এবং পূর্ব নেপালের মধ্যবর্তী সীমান্তে অবস্থিত হিমালয় অঞ্চলটি কাঞ্চনজঙ্ঘা হিমাল নামে পরিচিত। ভারতের সিকিমের উত্তর-পশ্চিম অংশ থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭৪ কি.মি.। এর পূর্বে তিস্তা নদী, পশ্চিমে তামূর নদী, উত্তরে লহনাক চু নদী এবং জংসং লা শৃঙ্গ অবস্থিত। এর গগনস্পর্শী সুউচ্চ চূড়াগুলো চাদরের ন্যায় স্থায়ীভাবে জমাট বরফের বিস্তীর্ণ আস্তরণে ঢাকা। যেখান থেকে নেমে আসছে ছোট বড় মিলিয়ে মোট চারটি হিমেল রসনা (tongues of ice)। যেগুলো হিমবাহ (glacier) নামে পরিচিত। এখান থেকে প্রবাহিত হিমবাহ গুলো হলো — জেমু (উত্তর-পূর্ব), তালুং (দক্ষিণ-পূর্ব), ইয়ালুং (দক্ষিণ-পশ্চিমে) এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা (উত্তর-পশ্চিম)।

কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের পাঁচটি চূড়া রয়েছে। এগুলোর মধ্যে তিনটি চূড়া (মুখ্য, কেন্দ্ৰীয় এবং দক্ষিণ) ভারতের উত্তর সিকিম এবং নেপাল সীমান্তে অবস্থিত। অন্য দু’টি শৃঙ্গের (পশ্চিম ও কংবাচেন) অবস্থান নেপালের মেচি জোনের তাপ্লেজুং জেলায়। কাঞ্চনজঙ্ঘার নান্দনিক নামের নামকরণে ব্যবহার করা হয়েছে সিকিমের আদিবাসী সম্প্রদায় লেপচা জনগোষ্ঠীর লেপচা ভাষার শব্দ “কাং চেং জেং গা”। বাংলায় যার অর্থ হলো, “তুষারের পাঁচ ধনদৌলত”। লেপচারা বিশ্বাস করে, এই পবিত্র পর্বতের পাঁচটি চূড়া ঈশ্বরের পাঁচ ধন ভান্ডারের (স্বর্ণ, রূপা, রত্ন, শস্য ও পবিত্র পুস্তক) প্রতিনিধিত্ব করে।
স্থানীয়দের বিশ্বাস কাঞ্চনজঙ্ঘা তাদের পর্বত দেবতার আবাসভূমি। স্থানীয়রা যাকে বলে কাঞ্চনজঙ্ঘা ডেমন বা ইয়েতি। এছড়াও সিকিম ও নেপাল উভয় অঞ্চল জুড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার আশেপাশের বাসিন্দা লেপচা ও লিম্বু সম্প্রদায় মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, এর ঢালে লুকায়িত রয়েছে অমরত্বের উপত্যকা। এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দা লেপচা ও লিম্বু সম্প্রদায়ের লোকেদের মধ্যে বংশ পরম্পরায় এই বিশ্বাস চলে এসেছে। তিব্বতিরা, এই লুকায়িত উপত্যকাকে বলে বেয়ুল ডেমোশং।

এক দুর্জয় পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা
কাঞ্চনজঙ্ঘার শীর্ষে আরোহণের চারটি পথ রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি দক্ষিণ-পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-পূর্ব দিক থেকে নেপালে এবং একটি উত্তর-পূর্ব সিকিম থেকে ভারতে অবস্থিত। আজ অবধি, সিকিম থেকে উত্তর-পূর্ব পথটি কেবল তিনবার সফলভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। ভারত সরকার কাঞ্চনজঙ্ঘায় আরোহণ নিষিদ্ধ করার পর এই রুটটি ২০০০ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। তাই কাঞ্চনজঙ্ঘা সামিটে বা শৃঙ্গারোহণেভারতীয়দেরও যেতে হয় নেপাল রুট দিয়ে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি মজার তথ্যটি হচ্ছে এই পর্বত কিন্তু আসলে কেউ আক্ষরিক অর্থে জয় করেনি। প্রথম ব্রিটিশ অভিযানের অংশ হিসেবে জো ব্রাউন এবং জর্জ ব্যান্ড ১৯৫৫ সালের ২৫ মে সর্ব প্রথম কাঞ্চনজঙ্ঘা সামিট করেন। সর্বপ্রথম এর চূড়ায় পৌঁছানো এই অভিযাত্রী দল সিকিমের ধর্মগুরুকে কথা দিয়ে দিয়েছিলেন যে, কাঞ্চনজঙ্ঘার সর্বোচ্চ চূড়ায় কেউ পা রাখবে না। সে অনুযায়ী তারা মূল শৃঙ্গের কিছুটা আগেই থেমে গিয়েছিলেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত সকল অভিযাত্রী দল এই নিয়মটি মেনে এসেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঞ্চনজঙ্ঘায় আরোহণ অধিকাংশ ৮০০০ মিটারের শৃঙ্গের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশ কঠিন। এমনকি সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া এভারেস্টে ওঠা পর্বতারোহীদের জন্য ঠিক যতটা কঠিন তার থেকেও অনেক বেশি বিপদের শঙ্কা থাকে কাঞ্চনজঙ্ঘা বেয়ে উঠাকে ঘিরে!
হিমালয় রেঞ্জের পর্বতে সাধারণত প্রতিবছর প্রি-মনসুন (এপ্রিল থেকে মে) এবং পোস্ট মনসুন (সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর) — এই দুই মৌসুমে পর্বতারোহণ করা হয়। এভারেস্টে প্রতি মৌসুমে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ জন পর্বতারোহণ করে। আর কাঞ্চনজঙ্ঘায় এই সংখ্যা প্রতি মৌসুমে মাত্র ২০ থেকে ২৫ জন। ২০০০ সাল থেকে, এভারেস্টে যেখানে প্রতি ১০০ শীর্ষ সামিট বা শৃঙ্গারোহণে প্রাণহানির ঘটনার হার প্রায় ১.৪ শতাংশ সেখানে ২০১৮ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে কাঞ্চনজঙ্ঘায় মৃত্যুর হার ২১.৪ শতাংশ। এই শৃঙ্গ এতই দুর্গম যে ১৯০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত পঞ্চাশের অধিক মানুষ কাঞ্চনজঙ্ঘা সামিটে জান খুইয়েছেন। মৃত্যু ঝুঁকি অধিক হবার কারণে এই পর্বত পরিচিতি পেয়েছে খুনি পর্বত হিসেবে। তাই স্বভাবতই এখানে সফল অভিযানের সংখ্যাও বেশ কম।

এর কারণ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে পর্বতারোহীরা নানা কারণ সামনে দাড় করিয়েছে। সেগুলোর মধ্যে একটি এর বৈরী আবহাওয়া। পর্বতের উপরে ঠিক কত বেগে হাওয়া বইছে বা তুষারপাত হচ্ছে কি না বা হবার সম্ভাবনা কতটুকু, সেটা বোঝা যায় না সবসময়। এছাড়াও কাঞ্চনজঙ্ঘায় আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয়টি আগে থেকে আঁচ করাটাও বেশ মুশকিল। যে কাঞ্চনজঙ্ঘার আবহাওয়া ক্ষণে ক্ষণে বদলায়, সেখানে অভিযানে গিয়ে ওয়েদার উইন্ডো (একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সামিট করে ফিরে আসতে হবে) খুঁজতে পর্বতারোহীদের নাজেহাল হওয়া হরহামেশা ব্যাপার।
আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে সামিট ক্যাম্প থেকে শৃঙ্গের দূরত্ব। এভারেস্টের ক্ষেত্রে সামিট ক্যাম্প থেকে শৃঙ্গের দূরত্ব ৯০০ থেকে ৯৫০ মিটারের মাঝামাঝি। অন্যদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সামিট ক্যাম্প থেকে শৃঙ্গের দূরত্ব ১২০০ মিটার। যেখানে এভারেস্টের এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে ১২ ঘণ্টার মত সেখানে কাঞ্চনজঙ্ঘার ক্ষেত্রে লেগে যায় প্রায় ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা। এই বৈরী আবহাওয়ার দরুণ কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গ ঘুরে সামিট ক্যাম্পে ফিরতে কারো কারো সময় লেগে যায় তিন থেকে চার রাত যেখানে এভারেস্টে সময় লাগে এক রাতের মতো। এমনকি এখানে নিয়মিত শেরপাদের পাওয়া যায় না। কারণ, এটি খুম্বু উপত্যকা বা পর্যটন স্থল থেকে খুব দূরে অবস্থিত।
তাই বলে কি আর পর্বত প্রেমীদের পর্বতে আরোহণ থেমে থাকে! এত সকল অজানা বিপদ আর আশঙ্কাকে হেলায় উপেক্ষা করে প্রতি বছর পর্বতারোহীরা কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গের অমোঘ আকর্ষণে এক দুর্গম পথে ছুটে চলেন। দিনশেষে সকল জানা অজানা বাঁধা ও বিপত্তি অতিক্রম করে তাদের কেউ ফেরেন বীর বেশে সাফল্যের হাসি হেসে নিয়ে ফিরে আসেন। আবার কেউ বা হারিয়ে যান বরফের শুভ্র-শীতল গহ্বরে।
ভয়ংকর সুন্দর কাঞ্চনজঙ্ঘা
কাঞ্চনজঙ্ঘার ভয়ংকর সৌন্দর্য্যের সাক্ষী হতে প্রতি বছর বহু দেশ থেকে ভারত ও নেপালে ভিড় জমান অসংখ্য পর্যটক। কাঞ্চনজঙ্ঘার সুউচ্চ চূড়া কাছ থেকে দেখা যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জেলা শহর দার্জিলিং এর টাইগার হিলে দাড়িয়ে। কাঞ্চনজঙ্ঘা দূর থেকে দর্শনের সবচেয়ে আদর্শ স্থান হলো টাইগার হিল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই স্থানের উচ্চতা ২ হাজার ৫৯০ মিটার। টাইগার হিলের এই উচ্চতা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সরাসরি দূরত্ব প্রায় ৭৯.৮ কিমি। আবার কেউ কেউ ছুটে যান দার্জিলিংয়ের সান্দাকপু বা ফালুটে।

যে স্থানই হোক না কেন কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য অবলোকনের উপযুক্ত সময় সকাল ও বিকেল বেলা। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই তা গিয়ে পড়ে ঠিক কাঞ্চনজঙ্ঘার শুভ্র চূড়ায়। রাতের আবছা আঁধার দূর করে ভোরের আলোয় পর্বত চূড়া ঠিক যেন পোড়ামাটির রং ধারণ করে। ভোরের সোনালি আলোর যাদুর ছোয়ার ধীরে ধীরে রুপোর পর্বত যেন সোনায় পরিণত হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অবশ্য এই সৌন্দর্য কিছুটা মলিন হয়ে আসে সত্য, তবে কমে যায় না কাঞ্চনজঙ্ঘার আবেদন। তখন এই পর্বতশৃঙ্গ ধরা দেয় তার তুষার শুভ্র রূপে। কখনও বা পর্বতশৃঙ্গের নিচ দিয়ে কালো রং ধারণ করে থাকা দৃশ্যও চোখে পড়ে। এগুলো মূলত দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি এলাকা। কাঞ্চনজঙ্ঘার সূর্যাস্ত হোক কিংবা সূর্যোদয় তা নিঃসন্দেহে পৃথিবীর অনিন্দ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে একটি।

অপূর্ব সুন্দর কাঞ্চনজঙ্ঘা
নেপাল ও ভারতের সিকিম রাজ্যের সীমান্তের কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে বাংলাদেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড় থেকেও দৃশ্যমান হয়। বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া থানার উত্তরের একেবারে শেষ বিন্দু থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গের দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত যখন মেঘমুক্ত ও কুয়াশা মুক্ত নীল আকাশ থাকে তখনই দেশের উত্তরের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলা থেকে দেখা যায় তুষারশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা।
গুগল ম্যাপে কাঞ্চনজঙ্ঘা
আপনার মতামত দিন