করোনা ভাইরাসের কারণে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজার, পর্যটন খাত ও উৎপাদন খাত। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেবে। সরকারের পদক্ষেপও এক্ষেত্রে কোন কাজে আসবে না বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
এদিকে বিভিন্ন দেশের পর্যটন খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় কোটি কোটি ডলার লোকসানে গুণছে পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা। আতঙ্কে বিনিয়োগের সবচেয়ে নিরাপদ খাত স্বর্ণেও বিনিয়োগ করছেন না ব্যবসায়ীরা। কমেছে স্বর্ণের দামও।
করোনা ভাইরাসের কারণে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পয়েন্ট হারিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ণ সব সূচক। মার্কিন ডও জোনসের সূচকের পতন ১৯৮৭ সালের পর সর্বোচ্চ। অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ন্ত্রণে অন্ত ৫০টি দেশ সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পর্যটন খাতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ১শ’রও বেশি দেশ। ধসের মুখে বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্স, পর্যটন স্পটের ব্যবসা। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও এশিয়ার ফ্লাইট বুকিং কমেছে আশঙ্কাজনকহারে।
হোটেল রেস্টুরেন্ট বুকিংয়ে প্রায় ধস নেমেছে। শিল্পখাতের কার্যক্রম কমায় চীনে দূষণ উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। পাশাপাশি কমেছে গাড়ি বিক্রির পরিমাণ।
স্বর্ণ বিনিয়োগের সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম হলেও মানুষ স্বর্ণ কেনা একরকম বন্ধই করে দিয়েছেন। এ কারণে কমেছে স্বর্ণের দামও। জানুয়ারি থেকে মার্চ নাগাদ স্বর্ণের দাম কমেছে ৩শ’ ডলার।
জ্বালানি তেলের দাম কমেছে সর্বোচ্চ। ২০২০ সালে ব্যারেল প্রতি জ্বালানি তেলের দর নেমেছে ২৬ ডলারে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান ও ইতালির প্রবৃদ্ধি কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সহযোগী সংস্থা ওইসিডি। বিশ্ব প্রবৃদ্ধি কমতে পারে আশঙ্কাজনকহারে