করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাংলাদেশে সব ধরণের গণপরিবহন বৃহস্পতিবার থেকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কোন সড়কে কোন রকম যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করবে না।
এই লকডাউন কার্যকর থাকবে পরবর্তী দশদিন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে।
তবে আজ ও কাল সীমিত আকারে চলবে যাত্রীবাহী বাস।
এদিকে, আজ বিকাল থেকেই সারাদেশে নৌপথে লঞ্চ, ছোট নৌকাসহ সব ধরণের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে চলবে পণ্যবাহী নৌযান।
নৌ পরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুরে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আজ সন্ধ্যা থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে । পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, যেসব রেল বিভিন্ন বেজ স্টেশন থেকে ঢাকায় এসেছে, তারা আবার ফিরে যাওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে তেল, খাদ্যসহ জরুরি পণ্য পরিবহনের জন্য সীমিত আকারে ট্রেন চলবে।এর আগে সকালে সব ধরণের নৌযান ও গণপরিবহণ বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়।
এর আগে রেলওয়ে বিভাগের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আজ থেকে সারা দেশে স্থানীয় কমিউটার মেইল ট্রেন চলাচলও বন্ধ থাকবে।
আর আগামী ২৬ তারিখ থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হবে।
আজ থেকে সব ধরণের ট্রেনের টিকেট বিক্রিও বন্ধ রয়েছে। তবে বাকিসব গণপরিবহন বন্ধ হবে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩৩ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন তিনজন।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ হাজার ৫১৪ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ২ হাজার ৬৯ জন।আক্রান্তদের মধ্যে ২ লাখ ৬০ হাজার ২৭৬ জন চিকিৎসাধীন।
এদের মধ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার ২১৪ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ১২ হাজার ৬২ জন রয়েছেন আশঙ্কাজনক অবস্থায়।করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার ১৭১ জনে। নতুন করে সাত জন মারা যাওয়ায় দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৭৭ জন।