বর্তমানে আমাদের দেশের তরুণদের মাঝে গবেষণায় আগ্রহ তৈরি হচ্ছে অনেকের। অনেকেই দেশে এবং বিদেশের মাটিতেও বসে করছে নানাবিধ গবেষণা । অনেক নামকরা জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে অনেকের গবেষণা প্রবন্ধ। তাদেরকে অনুসরন করেই সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অনেকের মাঝেই গবেষণাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়ার ঝোঁক তৈরি হচ্ছে। কিন্তু নানা ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খায় শিক্ষার্থীদের মনে। কিভাবে শুরু করবে এ নিয়ে তাদের মধ্যে এক ধরনের সিদ্ধান্তহীনতা দেখা যায়। সম্প্রতি এই সমস্যাটি নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে একটি লেখা লিখেছেন বিশিষ্ট লেখক এবং গবেষক জনাব রাউফুল আলম।
তিনি তার পোস্ট এ লিখেছেন, ” ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ার থেকে থার্ড ইয়ার পর্যন্ত গবেষণা নিয়ে অস্থিরতার কোন কারণ নেই। গবেষণার প্রতি তোমার ইচ্ছে আছে, খুবই ভালো কথা। আন্ডারগ্রেজুয়েট রিসার্চ হয় ফোর্থ ইয়ারেই। সারা দুনিয়াতেই স্টুডেন্টরা গবেষণা করার প্রাথমিক ধারণা বা প্রাথমিক ধাপ শুরু করে আন্ডারগ্রেডের ফাইনাল ইয়ারেই।”
এরপর তিনি প্রশ্ন রাখেন, ” তাহলে ফার্স্ট ইয়ার থেকে থার্ড ইয়ার পর্যন্ত ফোকাসটা কি হবে?”
পরে প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই লিখে দেন। লেখার মাধ্যমে তিনি বলেন, ” প্রথম ফোকাস, এই তিন বছরে যতো কোর্স থাকে সেগুলো থেকে কোন কোর্সগুলো বেশি ভালো লাগে সেটা বাছাই করা। কোন এরিয়াতে তোমার পড়তে, বুঝতে, ভাবতে বেশ সাচ্ছন্দবোধ করো—সেটা চিহ্নিত করা। যেসব কোর্স ভালো লাগে অন্তত সেগুলোতে ভালো গ্রেড তোলার চেষ্টা করো।”
এর পাশাপাশি তিনি বাংলা,ইংরেজি ছাড়াও অন্য একটা ভাষা শেখার জন্য সময় দিতে পরামর্শ দেন । পাশাপাশি ইংরেজিতে মৌলিক লেভেলে দুর্বলতা থাকলে সেগুলো কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করতে বলেন। জিআরই/টোফেল/আইএলটিএস—এগুলো নিয়ে শুরু থেকেই অল্প অল্প করে সময় দেওয়ার কথা বলেন। বলেন, ” এমনভাবে প্রস্তুতি নাও যেনো আন্ডারগ্রেড শেষ হলেই এগুলোর স্কোর নিতে পারো। এই কয়েকটা বিষয় যদি ঠিকমতো গুছাতে পারো—তোমার জন্য বহু অপরচুনিটি অপেক্ষা করছে।”
তিনি আরও লিখেন, ” কম্পিউটারের মৌলিক কাজগুলো জানতে হবে এবং দ্রুত টাইপ করতে পারার গুন অর্জন করতে হবে । ভালো প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে শেখা, ডেটা অর্গানাইজ করতে শেখা ও এক্সেলের মাধ্যমে ভালো গ্রাফ, চার্ট তৈরি করতে পারতে হবে। যেই ফিল্ডেই পড়াশুনা করো না কেন—এই মৌলিক বিষয়গুলো লাগবেই। ভালো ই-মেইল লিখতে শিখো। প্রেজেন্টেশন স্কিল বাড়াও।”
সম্প্রতি তিনি ”একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায়” বইটি লিখে বেশ প্রশংসা পান। বইটির মাধ্যমে তিনি বেশ কিছু সমস্যা সবার সামনে তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত লেখালেখি করেন।

আমি স্বপ্ন দেখি, বাংলাদেশের অসংখ্য ছেলে-মেয়ে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে। জ্ঞান-গবেষণায় পৃথিবীতে তাক লাগিয়ে দিবে। সারা দুনিয়া একদিন আমাদেরকে একটা মেধাবী জাতি হিসেবে চিনবে।
আরো পড়ুন,
উচ্চশিক্ষায় ০৪টি মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশ করবে ইউজিসি
আবুল মনসুর আহমদ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ২০২১
বাংলাদেশ থেকে ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১৯ তরুণ