শ্যাডো নিউজঃ গত ৩ জুলাই দ্বিতীয় দফার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবারও ২ বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হলেন ফজলে কবির ।
আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সাবেক এই গভর্নরকে তৃতীয়বারের মতো পুনরায় নিয়োগ দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব মো. জেহাদ উদ্দীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ যা বাংলাদেশ ব্যাংক (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২০ দ্বারা সংশোধিত এর অনুচ্ছেদ ১০ (৩) এবং ১০ (৫) এর বিধান অনুযায়ী ফজলে কবিরকে তার বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ২০২২ সালের ৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ফজলে কবির গভর্নর পদে নিয়োজিত থাকাকালীন সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত মোতাবেক বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গ্রহণ করবেন। এ নিয়োগের অন্যান্য বিষয় উল্লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান পদত্যাগের পর পরদিনই ফজলে কবিরকে চার বছরের জন্য গভর্নর নিয়োগ দেয় সরকার। তখন তিনি বিদেশে ছিলেন এবং ফিরে এসে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০ মার্চ। সে হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল এ বছরের ১৯ মার্চ।
তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩৪ দিন আগে অর্থাৎ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ১৬ তারিখ গভর্নর হিসেবে তাঁর মেয়াদ ৩ মাস ১৩ দিনের জন্য বাড়ানো হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদের জন্য নির্ধারিত বয়স ছিল ৬৫ বছর। গত ৯ জুলাই জাতীয় সংসদের সবশেষ অধিবেশনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মেয়াদ ৬৫ বছর থেকে ৬৭ বছর অর্থাৎ দুই বছর বাড়িয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশোধনী বিল-২০২০ পাশ হয়।
১৯৫৫ সালের ৪ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফজলে কবির। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮০ রেলওয়ের সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এর তিন বছরের মাথায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারে ১৯৮২ সালে নিয়মিত ব্যাচে যোগ দেন তিনি। তিনি ২০০৮ সালে জাতিসংঘের ফিন্যান্স এবং বাজেট কমিটি অধিবেশনে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
জাতীয় পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন একাডেমি ও ২০১২ সালে অর্থসচিব হিসেবে যোগদানের আগে তিনি রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
আপনার মতামত দিন