টানা চতুর্থবারের মত গিনেস বুকে নাম লেখালেন বাংলাদেশের গর্ব, মাগুরা জেলার মাহামুদুল হাসান । ফুটবল খেলার কসরত দেখিয়ে তিনি এই গৌরব অর্জন করেন।
২০০০ সাল থেকে গিনেস বিশ্ব রেকর্ড পরিচিত গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস হিসেবে। এটি একটি বার্ষিক প্রকাশনাবিশেষ, যেখানে বিশ্বের সকল রেকর্ডসমূহ নথিবদ্ধ থাকে।
সেই গিনেস বুকে টানা চতুর্থবারের মত নাম লিখালেন মাগুরা জেলার মাহামুদুল হাসান। মাগুরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর ম্যাকাটনিক্স বিভাগে ডিপ্লোমা প্রকৌশলে অধ্যায়নরত মাহামুদুলের বাসা সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামে। বাবা সোহেল রানা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এবং মা মঞ্জুয়ারা খানম একজন গৃহিণী। মাহামুদুল একজন ফুটবল ফ্রি স্টাইলার।
এক মিনিটে ৬৬ বার ফুটবল ঘাড়ের উপর নাচিয়ে ও ধরে (মোস্ট ফুটবল ‘সকার বল’ নেক থ্রো অ্যান্ড ক্যাচেস ইন ওয়ান মিনিট) স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বৃহস্পতিবার রাতে তাকে এ স্বীকৃতি প্রদান করে।
আরও তিনটি রেকর্ড রয়েছে তার দখলে। ইতোপূর্বে ২০১৯ সালের আগস্টে মোস্ট বাস্কেটবল নেক ক্যাচেস ইন ওয়ান মিনিট রেকর্ড গড়েন তিনি। এপ্রিলে এক মিনিটে দুই হাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৪৪ বার বাস্কেটবল ঘুরিয়ে রেকর্ড গড়েন। এছাড়াও ফুটবল ফ্রি স্টাইলার হিসেবে প্রথম রেকর্ডটি গড়েন ২০১৮ সালে এক মিনিটে ১৩৪ বার ফুটবল ঘুরিয়ে।
মাহামুদুল কোন পেশাদারি প্রশিক্ষণ ব্যতীতই এসব করেছেন। তিনি বলেন,”ফুটবল -ক্রিকেটের মত পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় ফ্রি স্টাইল গেম বাংলাদেশে জনপ্রিয় হচ্ছে না। এটিকে জনপ্রিয় করতে যে ধরণের ব্যায়ামাগার, প্রশিক্ষক বা অন্যান্য সহযোগিতা দরকার তা পাওয়া যায় না। ঢাকায় পাওয়া গেলেও মাগুরার মতো স্থানীয় পর্যায়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা নেই বললেই চলে।” বিভিন্ন ক্লাব বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে ফ্রি স্টাইল গেম আরও জনপ্রিয় হবে বাংলাদেশে।
বিভিন্ন ক্লাব বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে বাংলাদেশে ফ্রি স্টাইল গেম আরও জনপ্রিয় হবে বলে মনে করেন তিনি।
নিয়মিত পড়ালেখার পাশাপাশি নিজেকে বিশ্বমানের একজন ফ্রি স্টাইলার হিসেবে গড়ে তুলতে চান মাহামুদুল হাসান ফয়সাল। এজন্য তিনি একের পর রেকর্ড গড়তে চান।
বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সোনার ছেলেদের প্রতিভা অগোচরেই শেষ হয়ে যায়।সকলের উচিত এসব প্রতিভাধর সন্তানদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ভবিষ্যৎ পথকে সুগম করে তোলা।