চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,নামটি শুনলেই চোখে ভেসে উঠে সবুজ পাহাড়ে আবৃত অপ্রুপ এক ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার জোবড়া গ্রামে। প্রায় ২১০০ একর জায়গা নিয়ে এটি দেশের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাস।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বহু অনুষদ ভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিনে ২১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭,৮৩৯ শিক্ষার্থী এবং ৮৭২ জন শিক্ষক রয়েছেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯টি অনুষদে ৫২টি বিভাগ রয়েছে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭টি ইনস্টিটিউট , ৬টি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।
প্রায় ৩.৫ লক্ষ বই নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার দেশের বৃহত্তম গ্রন্থাগার গুলোর মধ্যে একটি। তিনতলা বিশিষ্ট গ্রন্থাগারটিতে শিক্ষার্থী, গবেষক এবং শিক্ষকদের জন্য পৃথক কক্ষ রয়েছে। গ্রন্থাগার ভবনে একটি মিলনায়তনও রয়েছে। গ্রন্থাগারে ফটোকপির ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রন্থাগারটিতে প্রতিদিন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা পড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। গ্রন্থাগারটিকে বর্তমানে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে।ফলে যেকোন বই সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।


ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্তমানে ১২টি আবাসিক হল রয়েছে যার মধ্যে ৮টি ছাত্র হল ও ৪টি ছাত্রী হল।শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরবর্তী এই ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য রয়েছে শাটল ট্রেন। এই শাটল ট্রেনে প্রতিদিন প্রায় ৯-১০ হাজার ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করে। এছাড়াও রয়েছে লোকাল বাসের ব্যবস্থা, ফলে শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করা যায় সহজেই।

অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর মধ্যে অন্যতম চালন্দা গিরিপথ, ঝড়না,টেলিহিল,ফরেস্ট্রি রোড ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। শীতের সকালে কাঁটা পাহাড় রাস্তায় হেঁটে বার বার রোমান্সিত হতে হয়, কিংবা পামবাগান, বোটানিক্যাল গার্ডেন এসবের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতেই হবে।
একমাত্র বাংলাদেশী নোবেল বিজয়ী ডঃ ইউনুস,বিখ্যাত গণিতবিদ ডঃ জামাল নজ্রুল ইসলাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। এছাড়াও আরো অনেক সফলতার ইতিহাসে সম্মৃদ্ধ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস।
আরো পড়ুন,
শতবর্ষে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়”
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: সৃষ্টিই যার বিনির্মাণের লক্ষ্যে
প্রাণের ক্যাম্পাস মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)