‘পৌষ পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশিতে বিষম খেয়ে, আরো উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি পেয়ে। ’
কবি সুফিয়া কামালের কবিতায় গ্রাম বাংলার কিশোর বয়সের পিঠা খাওয়ার আনন্দ ধরা পড়ে এইভাবে।
চাল থেকে গুড়া তৈরি করে সেটা দিয়েই সাধারনত পিঠা তৈরি করা হয়। সব ঋতুতেই পিঠা তৈরি হয় তবে শীতের পিঠার স্বাদই আলাদা। আর এই শীত কালের সাথে যেন পিঠা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।
পিঠা উৎসবে হরেক রকমের পিঠা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
দাদা-দাদিরা যখন তাদের পিঠে খাওয়া নিয়ে গল্প করে, তখন আমাদের তরুন কিংবা কিশোররা অবাক হয়ে সে গল্প শুনে। কারন আগের সেই উৎসব উৎসব ভাব গ্রামে কোথাও কোথাও দেখা গেলেও শহুরে জীবনে দেখা যায় না বললেই চলে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এই ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই বর্তমানে নানা স্থানে পিঠা উৎসব এর আয়োজন করা হয়ে থাকে।তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এ ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোট’ এর উদ্যোগে আয়োজন করা হয় একদিন ব্যাপী পিঠা উৎসব।
এই পিঠা উৎসবে অংশ নেয় অঙ্গন, লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন, উত্তরায়ন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃতি মঞ্চ ইত্যাদি সংগঠন।
এসব সংগঠনের স্টল গুলোতে শোভা পায় বাহারী রকমের পিঠা। দুধ পুলি,পাটী সাপতা,চিতই সহ হরেক রকম বাহারি স্বাদের লোভনীয় সব পিঠা। এসব পিঠা দেখতে ও স্বাদ নিতে ভীড় জমায় শিক্ষার্থীরা।
পরে এক মনোজ্ঞ সাংকৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নিয়মিত এই পিঠা উৎসব আয়োজিত হোক এমনটাই চান দর্শনার্থীরা।