শ্যাডো নিউজঃ অষ্টমবারের মত দেশে আজ পালিত হবে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ‘। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়, “বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় শেখ হাসিনার অবদান,বিনামূল্যে লিগ্যাল এইডে আইনি সেবাদান”।
আইনগত সহায়তা হলো এমন একটি নিয়ম যেখানে আদালতের ব্যবস্থা গ্রহণ করার সামর্থ্য নেই এমন মানুষদের আইনি সহায়তা দেওয়া হয়।ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আইনি সহায়তাকে কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আইনগত সহায়তা সকলের সমঅধিকার নিশ্চিত করে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসটির প্রথম আনুষ্ঠানিক যাত্রা ঘটে ২০১৩ সালে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে লিগ্যাল এইড কল সেন্টার ‘জাতীয় হেল্পলাইন ‘-এর উদ্বোধন এর মাধ্যমে। ‘১৬৪৩০’ নাম্বারে ফোন করে যেকোন ব্যক্তি জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা নিতে পারেন।
আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়। বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের সমঅধিকারকে অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।এই অধিকার বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০’ প্রণয়ন করা হয়েছিল।
১৯৯২ সালে বাংলাদেশের সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত আইনি সহায়তার বিলের ভিত্তিতে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সালে এই সংস্থার ক্ষমতা ও কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়। সংস্থাটি গরীব ও দুস্থদের নিম্নোক্ত সুবিধাসমূহ দিয়ে থাকেঃ
- আইনী পরামর্শ
- বিনা খরচে উকালতি
- উকিল খরচ
- মধ্যস্থতাকারীর খরচ
- বিনামূল্যে আদেশ,রায় ইত্যাদির সত্যায়িত কপি
- ডিএনএ পরীক্ষার ব্যয়
- সিআর ক্ষেত্রে কাগজের বিজ্ঞাপনের মূল্য
- মামলার ব্যয়ের পাশাপাশি অন্য কোন সহায়তা
অসচ্ছলতা, অজ্ঞতা ও নানাবিধ কারণে দেশের অবহেলিত জনগোষ্ঠী আইনের সমঅধিকার থেকে বঞ্চিত হোন।জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তারা উপকৃত হচ্ছেন। সরকারের এই আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের সফলতা নিশ্চিনান্তে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও নানাবিধ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে, ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে আইনগত সহায়তার বিস্তর ভূমিকা রয়েছে।
বর্তমানে দেশের সবক’টি জেলা আদালত, চৌকি আদালত এবং সুপ্রিমকোর্টে লিগ্যাল এইড সার্ভিস চালু রয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে এখন শুধু আইনি সহায়তা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি, মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে এ অফিসগুলোকে ‘এডিআর কর্ণার’ বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বিচারক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী,উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা প্রভৃতি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ নিশ্চিত হতে পারে প্রত্যেক নাগরিকের আইনগত সুবিধা পাবার অধিকার। জনগণ সমঅধিকার পেলেই আগাবে দেশ,দেখবে দেশ ভবিষ্যতের সোনালী দিনের স্বপ্নের বাস্তব রূপায়ন।