ফোরজির এই যুগে এলটিই শব্দটার সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। ফোরজির সাথে এলটিই বা লং টার্ম ইভল্যুশন এর একটি বিশেষ যোগসূত্র আছে। ফোরজি এলটিই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন অপারেটর চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা দিচ্ছে। ফোরজি এলটিই এর সাথে সংশ্লিষ্ট আরেকটি টার্ম ভিওএলটিই যাকে ইংরেজিতে VoLTE রূপে লেখা হয় যেটি ভোল্টি নামেও অনেকে উচ্চারণ করে থাকেন।
আর সকল রবি এবং এয়ারটেল গ্রাহকদের জন্য দেশজুড়ে ভয়েস ওভার এলটিই (VoLTE) সেবা চালু করল রবি। গ্রাহকরা যেন সহজে সেবাটি পেতে পারেন এজন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক স্মার্টফোন মডেলে সেবাটি চালু করেছে অপারেটরটি ।
আইফোন, স্যামসাং, হুয়াওয়ে, রিয়েলমি, সিম্ফনি, ওপ্পো, ওয়ালটন, নোকিয়ার মত জনপ্রিয় ১৫৬টি স্মার্টফোন মডেলের মাধমে এই সেবাটি উপভোগ করা যাবে।রবি এবং এয়ারটেল গ্রাহকদের ভোল্টি সেবা ব্যবহার করার জন্য বাড়তি কোনও খরচ করতে হবেনা।
সেবাটি সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে কল প্রেরক ও গ্রহীতা উভয়ের ভোল্টি সেবা ব্যবহার উপযোগী ফোরজি হ্যান্ডসেট এবং ভোল্টি অ্যাক্টিভেটেড ফোরজি সিম কার্ড লাগবে। এছাড়া উভয়কে ভোল্টি কভারেজ এলাকার মধ্যে থাকতে হবে। ভোল্টি হচ্ছে আইপি-ভিত্তিক ভয়েস কল প্রযুক্তি।
এই প্রযুক্তিটির মূল লক্ষ্য ফোরজি এলটিই নেটওয়ার্কে এইচডি (হাইডেফিনেশন) মানের ভয়েস সেবা নিশ্চিত করা। এলটিই ডাটা নেটওয়ার্কে ভয়েসকে আলাদা অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে বিবেচনা করে ভোল্টি। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারী গ্রাহকরা ২ থেকে ৩ সেকেন্ডের মধ্যে কল সংযোগ করতে পারবেন যা প্রথাগত টুজি বা থ্রিজি নেটওয়ার্কের চেয়ে ৪০-৫০ শতাংশ দ্রুততর এবং একইসাথে গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারবেন ক্রিস্টাল ক্লিয়ার এইচডি মানের শব্দ।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবে ভোল্টি সেবা চালু করে রবি। প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে গ্রাহকরা উদ্ভাবনী এই সেবাটি উপভোগ করার সুযোগ দেওয়া হয়।