বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এক বছরের বরাদ্দকৃত শিক্ষা বাজেটে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে। যদি অর্থনীতি ২০২০-২১ অর্থবছরের শিক্ষা বাজেটে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দকৃত অর্থ রাখা হয় এক বছরের সকল শিক্ষার্থীদের বেতন ও পরীক্ষার ফিস মওকুফ করার জন্য। তাহলে বর্তমানে এই মহামারী দুর্যোগের সময় লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীরা একটা প্রচণ্ড হতাশা, বিরহ, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে। তারা নির্ভয়ে নির্দ্বিধায় তাদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে। দেশের সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় বাংলাদেশ সরকারের কোষাগার থেকে ব্যয় করা হয়। তাই রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত হবে দেশের ভবিষ্যৎ সুগঠিত ও মজবুত করার লক্ষ্যে এক বছরের জন্য শিক্ষা বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হোক। কারণ শিক্ষা শিক্ষা বাজেট কে কখনো ব্যয় বলা যাবে না। শিক্ষা বাজেট হল একটি দেশের সবচেয়ে বড় ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর গতকাল একটি মহৎ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ তহবিল থেকে অতি দরিদ্র, অসহায় ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে ঘোষিত ছুটি কালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সিট ভাড়া মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিঃসন্দেহে এটি একটি মহৎ ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশের বাকি ৪২ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ৩৮ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ প্রশাসন নিঃসন্দেহে এই মহৎ উদ্যোগ টি নিজ প্রতিষ্ঠানে গ্রহণ করতে পারেন।
বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যয়, বাড়ি ভাড়া/সিটভাড়া, পরিবহন খরচ ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি খরচ বহন করার জন্য কিছু টিউশনি ও পার্ট টাইম জব করে থাকেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের এই লক ডাউনের সময় নিজেদের সর্বশেষ উপার্জনক্ষম পথটি হারাতে হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী তাদের পরিবারের মাসিক খরচ মেটাতে প্রতিমাসে কিছু অর্থ বাড়িতে পাঠিয়ে থাকেন। কিন্তু সেটাও করতে পারছেন না। দুই বেলা দুই মুঠো ভাত ও ডাল জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী। সর্বপ্রথম নিজের ঘরের খাদ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তারপর শিক্ষা গ্রহণ করতে আসবেন শিক্ষার্থীরা। করোনা ভাইরাস পরবর্তী বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর হাজার হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শুধুমাত্র পারিবারিক অভাব-অনটন ও দুঃখ-দুর্দশার জন্য অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। ওইসব শিক্ষার্থী অর্থ উপার্জনে নিজেকে নিযুক্ত করতে পারে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় দোকান, কলকারখানা ও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানে। ‘মিড ডে’ খাদ্য কর্মসূচি বাংলাদেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক কলেজে আরো গতিশীল ও ব্যাপক পরিসরে বৃদ্ধি করা হোক। খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করার ফলে আমাদের গ্রাম অঞ্চলের অতি দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণের আরো উদ্বুদ্ধ হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি মেডিকেল কলেজ মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ- শিক্ষার্থীরা স্বল্পমূল্যে নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট ডিলারদের কাছ থেকে চাল,ডাল ভোজ্য তেল, চিনি, আটা, পেঁয়াজ, রসুন কিনতে পারবেন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের অতি দরিদ্র, অসহায় ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে সক্ষম হবেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে দরিদ্রতম জেলা হচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলা এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে দরিদ্রতম বিভাগ হচ্ছে রংপুর বিভাগ। এই বিভাগের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী নিজেদের অস্তিত্ব টিকানোর জন্য লড়াই করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অতিদ্রুত এই বিভাগের আটটি জেলার লক্ষ-কোটি মানুষের দুবেলা দু’মুঠো অন্ন জোগাড়ের জন্য OMS এর চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, আলু, চিনি বিক্রির কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা হোক। আমি জানি খুবই অল্প পরিমাণ পরিসরে OMS এর বিক্রির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে বিভাগের সিটি কর্পোরেশন পর্যন্ত সকল পর্যায়ে OMS এর বিক্রির কার্যক্রম আরো গতিশীল ও ব্যাপক পরিসরে বৃদ্ধি করা হোক। তাহলে দেশের অসহায়,হতদরিদ্র জনগণের দোরগোড়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন হবে। ইতিমধ্যে সরকার দেশের প্রায় সাড়ে চার কোটি জনগণের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ত্রাণ এবং নগদ প্রায় ৮০ কোটি টাকা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। সরকার ত্রাণ বিতরণে অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে সক্ষম হয়েছেন।
দেশের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ বরাদ্দকৃত অর্থ ও প্রণোদনা দিয়ে দিনমজুর, রিকশাচালক ভ্যানচালক, ছোট ব্যবসায়ী মাঝারি ব্যবসায়ী, বড় ব্যবসায়ী ও বৃহৎ শিল্পের মালিকদের ব্যবসা কার্যক্রম পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তেমনি বাংলাদেশের লক্ষ কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১ বছরের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হোক। পরবর্তী ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে পুনরায় আগের নিয়ম কানুন ও যথাযথ রীতিনীতি পালন করার জন্য সকল সরকারি, আধা সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে। তাহলে আমাদের সোনার বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে নির্দ্বিধায় তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবে।
রংপুর বিভাগ মূলত একটি কৃষিনির্ভর বিভাগ। তাই কৃষকদের জন্য সার, বীজ ও কীটনাশক বিনামূল্যে ব্যাপক পরিসরে বরাদ্দ করতে হবে। সেই সাথে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, রংপুর বিভাগীয় সকল ব্রাঞ্চ থেকে কৃষকদের জন্য বিনা সুদে ঋণ প্রদান কার্যক্রম আরো গতিশীল ও ব্যাপক পরিসরে বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, রাজশাহী বিভাগীয় সকল ব্রাঞ্চ থেকে কৃষকদের জন্য বিনা সুদে ঋণ প্রদান কার্যক্রম আরো গতিশীল ও ব্যাপক প্রসার বৃদ্ধি করতে হবে। করোনা ভাইরাসের মহামারী দুর্যোগের সময় কৃষকদের কাছে জমির খাজনার কাগজপত্র ও অন্যান্য দরকারি কাগজপত্র নাও থাকতে পারে। কিন্তু দেশের সকল কৃষকদের নাগরিক পরিচয়পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে ঋণদান কর্মসূচি আরো গতিশীল ও ব্যাপক পরিসর বৃদ্ধি করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ- ‘নগদ’ ও ‘বিকাশ’ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম। এই মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে দেশের সকল কৃষকদের জন্য নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্ট খোলা যেতে পারে। এর ফলে অতি লোভী ও সুবিধাবাদী মানুষেরা এই কৃষি ঋণ কার্যক্রমের আওতায় থেকে বাতিল হবেন। তাহলে দেশের অর্থনীতি আরো গতিশীল ও সমৃদ্ধশালী হবে। কারণ কৃষক হচ্ছেন একটি দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনীতিবিদ। সেই সাথে বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের ৬৪ টি জেলার লক্ষ-কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ও অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংক স্বল্প সুদে কৃষক, দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ঋণ বরাদ্দ আরো গতিশীল ও ব্যাপকভাবে কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হোক।
‘ফুড সাপ্লাই চেইন’ অর্থনীতি এর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিবছর মোটামুটি বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাস বাংলাদেশে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুর বাম্পার ফলন হয়। রাজশাহী জেলা কে বাংলাদেশে আমের রাজধানী বলা হয়। দিনাজপুর জেলাকে বাংলাদেশের লিচুর রাজধানী বলা হয়। ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলায় বাংলাদেশে কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়। ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলায় বাংলাদেশের সর্বাধিক ধান ও মিঠা পানির মাছ উৎপাদন হয়। নওগাঁ জেলায় বাংলাদেশের সর্বাধিক চাল কল রয়েছে। জয়পুরহাট জেলায় বাংলাদেশে কলার বাম্পার ফলন হয়। রংপুর, নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও জেলায় বাংলাদেশে গম, ভুট্টা ও আলুর বাম্পার ফলন হয়। বগুড়া জেলায় বাংলাদেশে মসলার বাম্পার ফলন হয়। মৌলভীবাজার জেলাকে বাংলাদেশে চায়ের রাজধানী বলা হয়। চাঁদপুর জেলা কে বাংলাদেশে ইলিশ মাছ এর রাজধানী বলা হয়। ভোলা জেলায় তরমুজ উৎপাদনের বাম্পার ফলন হয়।চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় বাংলাদেশে সামুদ্রিক মাছ ও লবণ উৎপাদনের বাম্পার ফলন হয়। খুলনা জেলায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাটকল রয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় বাঁশ উৎপাদনের বাম্পার ফলন হয়। সিরাজগঞ্জ জেলায় বাদাম উৎপাদনে বাম্পার ফলন হয়। এছাড়া বাংলাদেশের বাকি জেলাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য, শাকসবজি, মাছ ও অন্যান্য ফসলের বাম্পার ফলন হয়। এই উৎপাদিত ফসল গুলো কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক কৌশল ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। এরপর হলে সরাসরি দেশের কৃষক লাভবান হবেন। একশ্রেণীর মধ্যস্বত্বভোগী, অতি লোভী ও সিন্ডিকেটের কবল থেকে অসহায় ও দরিদ্র কৃষকদেরকে রক্ষা করা যাবে।
শুধুমাত্র বৃহৎ শিল্পের শিল্পপতিদের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ করলেই দেশের অর্থনীতি সচল হবে না। দেশের প্রায় ১৭ কোটি জনগণের কথা চিন্তা করে ভবিষ্যৎ মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ২০৩১ এর মধ্যে চরম দারিদ্র্য নিরসন; ২০৪১ এর মধ্যে মাঝারি দারিদ্র্য ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা ও ২০৩১ এর মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ এর মধ্যে উচ্চ-আয় দেশের মর্যাদা অর্জন; রপ্তানিমুখী মেনুফেকচারিং একসঙ্গে শিল্পায়ন কাঠামোগত রূপান্তরকে ভবিষ্যতের দিকে চালিত করবে; কৃষিতে মৌলিক রূপান্তরে ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে, যা ভবিষ্যতের জন্য পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে; ভবিষ্যতের সেবাখাত গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতিকে প্রাথমিকভাবে শিল্প ডিজিটাল অর্থনীতি তে রূপান্তরের জন্য সেতুবন্ধ রচনা করবে; একটি উচ্চ আয়ের অর্থনীতির দিকে অগ্রযাত্রা কৌশলের অপরিহার্য অংশ হবে নগরের বিস্তার; একটি অনুকূল পরিবেশের অপরিহার্য উপাদান হবে দক্ষ জ্বালানি ও অবকাঠামো; যা দ্রুত দক্ষ টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে; জলবায়ু পরিবর্তনসহ আনুষঙ্গিক পরিবেশগত সমস্যা মোকাবেলায় একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণ; একটি দক্ষতা ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বাংলাদেশকে জ্ঞানভান্ডার দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার একটি অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে আবির্ভূত হবে। ‘ব্লু ইকোনমি’ অর্থাৎ ‘সুনীল সমুদ্র অর্থনীতি’ বাংলাদেশের অর্থনীতি এর ক্ষেত্রে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কারণ বাংলাদেশের মোট সমুদ্রসীমার আয়তন ১ লক্ষ ২১ হাজার ১১০ বর্গকিলোমিটার। এই বিস্তৃত সমুদ্র অঞ্চল বিভিন্ন প্রজাতি ও ধরনের সমুদ্র সম্পদের উৎস। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশেরও বেশি তাদের জীবিকার জন্য সরাসরি বা পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতে যুক্ত। বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকা ও সামুদ্রিক একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার মৎস্যজীবী পরিবারের ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে এ সম্পদ থেকে। এরমধ্যে ৫ লক্ষ ১৬ হাজার জেলে সরাসরি সামুদ্রিক মৎস্য খাতে যুক্ত। এই সীমায় তেল, গ্যাস আহরণের জন্য ২৬ টি ব্লক করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এখান থেকে বাংলাদেশ আশানুরূপ তেল ও গ্যাস পাবে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভবিষ্যৎ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়ক হবে।
এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত অভিমত। রাষ্ট্রের একজন তরুণ নাগরিক হিসেবে এই মহামারী দুর্যোগের সময় গরীব, অসহায়, হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
লেখক- সমীরণ সরকার তমাল |
---|
![]() অর্থনীতি বিভাগ (অধ্যায়নরত) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর। প্রাক্তন ছাত্র- বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট। |