শ্যাডো নিউজ:
দেশের প্রথম ওয়াইফাই সিটি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটল শত বছরের নগরী সিলেটের। নগরীর ১২৬ পয়েন্টে ফ্রি ওয়াইফাই সেবা চালু করেছে সরকার। ‘ডিজিটাল সিলেট’ প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৬২টি এলাকায় শুক্রবার থেকে এই সেবা চালু করা হয়।
দেশের প্রথম ডিজিটাল নগরী হিসেবে গত বছর আত্মপ্রকাশ ঘটে সিলেট নগরীর। তারই ধারাবাহিকতায় বাস্তবিক অর্থে ডিজিটাল নগরী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই ওয়াইফাই সেবা চালু করা হলো। সিলেট নগরীর যে কেউ এই ওয়াইফাই সেবা নিতে পারবেন শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে। ওয়াইফাই সেবার ইউজার নেইম “digital bangladesh” এবং পাসওয়ার্ড “joybangla“।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এসব এক্সেস পয়েন্টের প্রতিটিতে একসঙ্গে ৫০০ জন যুক্ত থাকতে পারবেন। এরমধ্যে একসঙ্গে ১০০ জন উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি এক্সেস পয়েন্টের চতুর্দিকে ১০০ মিটার এলাকায় ব্যান্ডউইথ থাকবে ১০ মেগাবাইট/সেকেন্ড।
কম্পিউটার কাউন্সিলের বাস্তবায়িত এই ওয়াইফাই জোনগুলো তদারকি করবে সিলেট সিটি করপোরেশন।
জানা যায়, গত বছর জুলাইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল সিলেট প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
ওইদিন দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বাস্তবায়নাধীন “ডিজিটাল সিলেট সিটি” প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত ’পাবলিক ওয়াইফাই জোন” ও “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্বলিত আইপি ক্যামেরা বেজড সার্ভেলেন্স সিস্টেম” এবং তথ্য কমিশনের উদ্যোগে বাস্তবায়িত “তথ্য অধিকার (আরটিআই) অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেম” এর পাইলটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৫০ কোটি টাকা।
প্রকল্পের আওতায় দেশে প্রথমবারের মতো সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১১০টি ফেস রিকগনিশন ও যানবাহনের নাম্বার প্লেট চিহ্নিতকরণ আইপি ক্যামেরা বসানো হয়।
ওয়াইফাইয়ের পয়েন্ট থাকবে যেসকল এলাকাঃ
সিলেট নগরীর নাইওরপুল পয়েন্টে ২টি, মিরাবাজার সড়কে ১টি, রায়নগর এলাকায় ১টি, সোবহানীঘাট পুলিশ স্টেশন এলাকায় ২টি, ধোপাদিঘীরপাড় বঙ্গবীর ওসমানী শিশু উদ্যানে ১টি, বন্দরবাজার জামে মসজিদ এলাকায় ২টি, নয়াসড়ক পয়েন্ট ও সংলগ্ন এলাকায় ৪টি, কাজীটুলা এলাকায় ২টি, চৌহাট্টা সড়কে ৩টি, হাউজিং এস্টেট সড়কে ১টি, সুবিদবাজারে ১টি, মিরের ময়দানে ১টি, পুলিশ লাইন সড়কে ১টি, রিকাবীবাজার জেলা স্টেডিয়ামে ২টি, মদন মোহন কলেজ এলাকায় ১টি, মির্জাজাঙ্গাল সড়ক এলাকায় ২টি, পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট এলাকায় ১টি, খুলিয়াপাড়া এলাকায় ১টি, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি এলাকায় ১টি, তালতলা হোটেল গুলশান এলাকায় ১টি, কাজিরবাজার সেতু এলাকায় ১টি, কাজিরবাজার সড়কে ২টি, খোজারখলা সিলেট টেকনিক্যাল কলেজ এলাকায় ১টি, বাগবাড়ি ওয়াপদা মহল্লা এলাকায় ১টি, পাঠানটুলায় ১টি, মদিনা মার্কেট পয়েন্টে ২টি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গেটে ২টি এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজ এলাকায় ১টি এক্সেস পয়েন্ট থাকবে।
এছাড়াও চৌকিদেখিতে ১টি, আম্বরখানা পয়েন্টে ৪টি, দরগা গেইটে ২টি, চৌহাট্টায় ৩টি, জিন্দাবাজারে ৪টি, বন্দরবাজার ফুটওভার ব্রিজ এলাকায় ৩টি, হাসান মার্কেট এলাকায় ৫টি, সুরমা ভ্যালি রেস্ট হাউস এলাকায় ২টি, সার্কিট-হাউস জালালাবাদ পার্ক এলাকায় ৩টি, কিন ব্রিজের দুই প্রান্তে ৬টি, রেলওয়ে স্টেশনে ৪টি, বাস টার্মিনালে ৩টি, কদমতলী পয়েন্ট ও সংলগ্ন এলাকায় ৫টি, হুমায়ুন রশীদ চত্বরে ৩টি, আলমপুর পাসপোর্ট অফিস এলাকায় ২টি, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এলাকায় ৩টি, সিলেট শিক্ষাবোর্ডে ২টি, উপশহর রোজভিউ পয়েন্টে ২টি, শাহজালাল উপশহর ই-ব্লক ও বি-ব্লকে ১টি করে ২টি, টিলাগড় পয়েন্টে ৩টি, এমসি কলেজ এলাকায় ২টি, শাহী ঈদগাহ এলাকায় ৩টি, কুমারপাড়া এলাকায় ৩টি, কুমারপাড়া সড়কে ২টি, দক্ষিণ বালুচরে ১টি, টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ১টি এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ১টি এক্সেস পয়েন্ট থাকবে।
ডিজিটাল নগরী বাস্তবায়নে নগরীতে আইপি ক্যামেরা বসানোর পর এবার ওয়াইফাই সেবা চালু করা হলো।এর আগে দেশের প্রথম তারবিহীন নগরী হিসেবে পরিচিত হয় সিলেট নগরী।