তাদের কোনো দেশ নেই। দেশ-পরিচয়হীন কিছু মানুষ। পৃথিবী জানে তারা শরণার্থী। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) তাদেরকে স্বতন্ত্র পরিচয় দেয়ার চেষ্টা করেছে। অলিম্পিকই তাদের দেশ, তাদের পরিচয়। অলিম্পিক দল হিসেবেই তারা অংশ নিয়েছে এবারের টোকিও অলিম্পিক গেমসে।
গতবারের মত এবারও, টোকিও গেমসে এমন একটি দল গড়া হয়েছে, যে দলের হয়ে বিভিন্ন দেশের শরণার্থীরা বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন।
এই দলে ইরানি তরুণী কিমিয়া আলিজাদেহর হাত ধরে অলিম্পিকে প্রথম সোনা জেতার স্বপ্ন দেখেছিল দেশ-পরিচয়হীন শরণার্থী দল। কিন্তু প্রথম তিন ম্যাচ জেতার পর তার টানা দুটি হারে স্বপ্নভঙ্গ হলো। টোকিও গেমসে রোববার তায়কোয়ান্দোতে সেমিফাইনাল ও ব্রোঞ্জ পদক প্লে অফ হেরে চতুর্থ হয়েছেন ২৩ বছর বয়সী।
এর আগে ইরানি প্রতিপক্ষ নাহিদ কিয়ানি চানদেহকে ১৮-৯ ব্যবধানে প্রথম ম্যাচে হারান আলিজাদেহ। তারপর শেষ ষোলোতে দুইবারের সোনা জয়ী জেড জোন্সকে হারিয়ে চমকে দেন। ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়নকে ১৬-১২ ব্যবধানে হারান তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে ৯-৮ ব্যবধানে জেতেন চীনের ঝোউ লিজুনের বিপক্ষে।
কিন্তু তুরস্কের হাতিচে কুবরা ইলগুনের কাছে ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচ হেরে যান আলিজাদেহ। প্রথম পর্বে ইলগুনের বিপক্ষে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন, ৮-৬ ব্যবধানে হারেন। তার আগে রাশিয়ান প্রতিপক্ষ তাতিয়ানা মিনিনার কাছে সেমিফাইনাল হেরে যান ১০-৩ ব্যবধানে। আলিজাদেহ অবশ্য গত রিও অলিম্পিকেই প্রথম ইরানি নারী হিসেবে পদক জিতেছিলেন তিনি। সেবারের অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক গলায় ঝুলান তিনি।
আরো পড়তে পারেন