শ্যাডো নিউজঃ পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সপ্তমবার আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ভারত।
বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ভারতের জয়ের নায়ক যশস্বী জয়সোয়াল। হাঁকিয়েছেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। ৩৫.২ ওভারেই বিনা উইকেটে ১৭৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ছক্কা মেরে শতরান পূরণ করার পাশাপাশি দলকেও জেতান যশস্বী। অপর ওপেনার দিব্যাংশ সাক্সেনাও ৫৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তারই সুবাদে সহজ জয় পেল ভারত।
আজ টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ভারতের অসাধারণ বোলিংয়ের সুবাদে বড় রান করতে পারেননি রোহেইল নাজিররা। ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন অধিনায়ক রোহেইল । দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ওপেনার হায়দার আলির (৫৬)। ২১ রান করেন ৬ নম্বরে নামা মহম্মদ হ্যারিস। এছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান পাননি। ভারতের হয়ে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সুশান্ত মিশ্র। কার্তিক ত্যাগী ও রবি বিষ্ণোই দু’টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন অথর্ব আঙ্কোলেকর ও যশস্বী।
দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে পাকিস্তানের প্রথম উইকেটের পতন হয়। দলের ৯ রানের মাথায় আউট হন মহম্মদ হুরেইরা (৪)। সুশান্তর বলে ক্যাচ নেন দিব্যাংশ। নবম ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। ১৬ বল খেলে কোনও রান না করেই আউট হয়ে যান ফাহাদ মুনির। বিষ্ণোইয়ের বলে ক্যাচ নেন অথর্ব আঙ্কোলেকর।
এরপর ক্রিজে জমে যাওয়া পাকিস্তানের তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন যশস্বী। নবম ওভারে ৩৪ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পর পাকিস্তানের হায়দার আলি ও রোহেইল নাজির জুটি ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। এর মধ্যে হায়দার তাঁর হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। জুটি ভাঙতে ভারত আক্রমণে আনে যশস্বীকে। প্রথম ওভারেই সাফল্য পান তিনি। হায়দার তাঁর বলে পয়েন্টে বিষ্ণোইয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। হায়দার ও রোহেইল জুটিতে ৬২ রান যোগ হয়।
এরপর রান আউট হয়ে যান কাসিম আক্রম (৯)।৩৫-তম ওভারে অথর্বর বলে দিব্যাংশর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মুহম্মদ হ্যারিস (২১)। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন দিব্যাংশ। ৩৮-তম ওভারে ইরফান খানকে বোল্ড করে পাকিস্তানকে ফের ধাক্কা দেন কার্তিক।
৩৯-তম ওভারের প্রথম বলেই ব্যাক্তিগত ২ রানের মাথায় এলবিডব্লু হন আব্বাস আফ্রিদি। এই উইকেটটি নেন বিষ্ণোই। ১৬৯ রানে অষ্টম উইকেট হারায় পাকিস্তান। সুশান্ত ফিরিয়ে দেন রোহেইলকে। ৪৩.১ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন দুই ওপেনার ইয়েসবি জয়েসওয়াল ও দিবাংশ সাকসেনা। দলকে জয় উপহার দিতে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন জয়েসওয়াল। ভারতীয় এ তরুণ ওপেনার ১১৩ বল খেলে ৮ চার ও ৪টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ১০৫ রান করেন।
এছাড়া ৯৯ বল খেলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫৯ রান করেন অন্য ওপেনার সাকসেনা। জয়েসওয়াল ও সাকসেনার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভারের ৮৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ৪৩.১ ওভারে ১৭২/১০ (রোহেল নাজির ৬২, হায়দার আলী ৫৬, হারিস ২১; সুশান্ত মিশ্রা ৩/২৮)।
ভারত: ৩৫.২ ওভারে ১৭৬/০ (জয়েসওয়াল ১০৫*, সাকসেনা ৫৯*)।
ফল: ভারত ১০ উইকেটে জয়ী।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার ফাইনালে পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে খেলতে নামবে ভারত। অন্য সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে যে দল জিতবে তারাই ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে।