পুরো পৃথিবীজুড়ে মারাত্মক প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। সারাদেশে বিভিন্ন সতর্কতা জারি করা হলেও অনেক প্রবাসী করোনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়মাবলি মেনে চলতে নারাজ। ১৪ দিন বাসায় থাকার কথা থাকলেও অনেকে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছেন। জেল-জরিমানা করেও অনেক প্রবাসীকে নিয়ম মানতে বাধ্য করতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন। আবার অনেক প্রবাসীকে চিহ্নিত করাও সম্ভব হচ্ছে না।
প্রবাসী ও বিদেশফেরতদের চিহ্নিত করতে এক অভিনব পদ্ধতি ব্যবহার করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২০ মার্চ) থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল, সিলেটের এমএজি ওসমানী ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও দেশের স্থলবন্দরগুলোতে ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে অমোচনীয় কালি দিয়ে সিল মারার কাজ শুরু হয়েছে। বিদেশফেরত যাত্রী কত দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে, সিলে সেই তারিখ উল্লেখ করা আছে। সিলের প্রথম অংশে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে ‘প্রাউড টু প্রটেক্ট বাংলাদেশ’। এরপর ‘হোম কোয়ারেন্টাইন আনটিল’ লিখে পৃথক থাকার সর্বশেষ তারিখ উল্লেখ করা রয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সংস্থার চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, “বিদেশফেরত যাত্রীদের হাতে গতকাল থেকে কোয়ারেন্টাইন সিল দেওয়া শুরু হয়েছে, যাতে তারা লুকিয়ে অন্যদের সঙ্গে মিশে যেতে না পারেন। আশা করা হচ্ছে, হাতে সিল মারা প্রবাসীদের দেখলেই অন্যরা সতর্ক হবেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও প্রবাসীদের শনাক্ত করতে সুবিধা হবে।”
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ হোম কোয়ারেন্টাইনের জন্য পাঠানো ব্যক্তিদের হাতে অমোচনীয় কালির সিল মেরে চিহ্নিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের বাংলাদেশে সংক্রমণ ও বিস্তৃতির আশঙ্কায় সরকার সেনাবাহিনীকে দুটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিচালনা করার দায়িত্ব দিয়েছে। বিমানবন্দর-সংলগ্ন হজক্যাম্প এবং উত্তরার দিয়াবাড়ী (সেক্টর-১৮) সংলগ্ন রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এ দুটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।