শ্যাডো নিউজ: এই লেভান্তের মাঠে গিয়েই আগের বার বার্সা হেরে এসেছিল ৩-১ গোলে। আর শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্ট ঘোঁচানোর একটা চাপ তো ছিলই। সুয়ারেজ না থাকায় কিকে সেতিয়েনের ভরসা ছিল তরুণ আনসু ফাতির ওপর। ওসাসুনার বিপক্ষে ১৬ বছর বয়সে গোল করে হয়েছিলেন ক্লাবের সবচেয়ে কনিষ্ঠ গোলদাতা। এরপর ডিসেম্বরে চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলানের সঙ্গে গোল করে হয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতা। আনসু ফাতি এবার আরেকটা রেকর্ড নতুন করে লেখালেন। লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে জোড়া গোলের কীর্তি এখন তার। কাল লেভান্তের বিপক্ষে তার দুই গোলেই ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফিরতে পেরেছে বার্সেলোনা।
ম্যাচের শুরু থেকেই অবশ্য বার্সার আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে লেভান্তের গোলবারে। মেসির বাঁ পায়ের শট একদম কাছ থেকে ফিরিয়ে দেন লেভান্তে গোলরক্ষক। তবে প্রথম গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বার্সাকে।
মেসির করা দুর্দান্ত এসিস্টে ৩০ মিনিটেই দলকে লিড এনে দেন আনসু ফাতি। সামনে গোলরক্ষক ফার্নান্দেজ ছাড়া কেউ ছিল না, তার পায়ের ঠিক ফাঁক দিয়ে বলটা জালে জড়িয়ে দেন। মিনিট খানেকের মধ্যেই ফাতির সঙ্গে আবার উদযাপনের সুযোগ পেয়ে বার্সাও। এবারও উৎস মেসি। প্রথমার্ধেই গোল করার আরও গোটা দুয়েক পরিষ্কার সুযোগ পেয়েছিল বার্সা, আরও নির্দিষ্ট করে বললে আঁতোয়া গ্রিজম্যান। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি সুযোগ। নেলসন সেমেদোর ডান পায়ের শট পোস্টে লেগে বাইরে চলে না গেলেও আরও এক গোলে এগিয়ে যেতে পারত বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধে লেভান্তে একটু গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে। পুরো ম্যাচে টের স্টেগেন দারুণ সেভ করেছেন। তবে শেষ সময়ে এসে বার্সা আরেকটু চাপে পড়ে যায়। ৮৭ মিনিটে বক্সের অত কাছ থেকে ফাঁকায় পেয়েও বল পোস্টে রাখতে পারেননি মার্টি। তবে যোগ করা সময়ে রচিনার বাঁ পায়ের দারুণ শট টের স্টেগেনকে ফাঁকি দিয়ে জড়িয়ে যায় জালে। শেষ সময়েও আরেকটা সুযোগ পেয়েছিলেন রচিনা, তবে গোল হয়নি।
এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধানে তিনে নামিয়ে আনল বার্সা।