চারিদিকে রঙ বেরঙের বাহারি ফুল। প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের রাস্তার দুই সারিতে দেখা যায় বিচিত্র ফুলের সমারোহ। নানা রঙ্গের ফুলের সুঘ্রাণ ছড়িয়ে আছে সব স্থানে। কেউ সেলফি, কেউ গ্রুপ ছবি এবং কেউবা সবুজ প্রকৃতির সাথে মিশে থাকা ফুলের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করছে। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অফিস ও রাস্তার পাশে প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে বিচিত্র ধরণের ফুলের বাগান।
এছাড়াও বাদ যায়নি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, প্রশাসন ভবন, কেন্দ্রীয় মসজিদ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিভিন্ন আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবনসমূহের সামনেসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্ত্বর। বাগানগুলোতে গাঁদা, ডালিয়া, জিনিয়া, গোলাপ, রঙ্গন, জারবিরা, জবা, ঝাউ, হাসনাহেনা ফুলে ভরে আছে। এছাড়াও বেলি, ফায়ারবল, নয়নফুল, চন্দ্রমল্লিকা, মোরগঝুটি, কসমস, জুঁই, চামেলি, টগর, বেলি, ক্রিসমাস ও পাতাবাহারসহ নানা জাতের ফুল ও বিভিন্ন বৃক্ষরাজিসহ প্রায় একশ প্রজাতির মতো ফুল, ফলদ ও বৃক্ষরাজি রয়েছে এখানে। বাগানের কোথাও শিক্ষার্থীরা বসে আড্ডা দিচ্ছে। আবার কোথাও শিক্ষার্থীরা মুঠোফোনে ছবি তোলায় ব্যস্ত।
বিশেষকরে প্রকৌশল অফিসের কাছে দেখা যায় নয়নাভিরাম ফুলের বাগান। রাস্তার দু’পাশদিয়ে সাজিয়ে রাখা নানা জাতের ফুলের সারি। এসব ফুল ক্যাম্পাসের পরিবেশকে দিয়েছে এক অনাবিল মায়াভরা রূপ। ক্যাম্পাসের পিচঢালা ছোট ছোট রাস্তার দু’পাশের এমন বিচিত্র ফুলের সারি মনকে করে দেয় উদাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল জানান, প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পেয়ে ক্যাম্পাসটি সাজিয়ে আরো দৃষ্টিনন্দন করার ভাবনা মাথায় আসে। তখন ফুলের বাগান করার পরিকল্পনা করলাম। শিক্ষার্থীরা আগে ক্লাসের ফাঁকে বাইরে ঘুরতে যেতো। তাদের ক্যাম্পাসে আকৃষ্ট করতে এবং মনোরম পরিবেশে পাঠদান নিশ্চিত করতে ফুলবাগান গড়ে তুলেছি। এখন অনেকেই অবসরটা ক্যাম্পাসেই কাটায়। বাইরে থেকেও আমাদের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য দেখতে আসেন অনেকেই। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আামদের ক্যাম্পাসে প্রায় ৪২ রকমের বিভিন্ন প্রজাতির ফুল রয়েছে। ভবিষ্যতে বাগানের পরিসর আরো বৃদ্ধি করতে কাজ করা হবে।

পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক ছাত্র ফিরোজুর রহমান জানান, বর্তমানে ব্রাক ব্যাংক ফরিদপুর শাখায় সহযোগী ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত আছি। একটু অবসর পেলেই ক্যাম্পাসে পরিবারসহ আমরা প্রায়ই ঘুরতে আসি। জায়গাটা অনেক সুন্দর। এই শীতের প্রকৃতিতে ফোটা ফুলগুলোর জন্য ক্যাম্পাসটা আরও সুন্দর লাগছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক-প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সানজুম বলেন, আামদের পুরো ক্যাম্পাসটাই ফুলে সাজানো। ক্যম্পাসে চলার সময় মনে হবে যেন কোন ফুলের রাজ্যে হাটছি। যে আসবে সেই প্রেমে পড়ে যাবে। চারিদিক ফুলে ফুলে সুশোভিত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। যেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন স্বপ্নের মায়াপুরী।
