ঋতু পরিবর্তনের দেশ বাংলাদেশ। আর ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরেও পরিবর্তন ঘটে। এই বদল থেকেই শরীরে জন্ম নেয় সর্দি-কাশির মতো সাধারণ ফ্লু। যা নিয়ে এতদিন আসলে কেউই এতো দুশ্চিন্তা করেননি। করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে অনেকেই সাধারণ ঠান্ডা-জ্বর হলেও ভয় পাচ্ছেন। ফলে সাধারণত কেউ হাঁচি বা কাশি দিলেই তার দিকে আড়চোখে দেখছেন সবাই।
ফলে সাধারণ ফ্লুকে করোনা ভেবেও কেউ কেউ হয়ে যাচ্ছেন প্যানিক। কিন্তু যেহেতু এখন ঋতু পরিবর্তনের সময় তাই সর্দি-কাশির মতো সাধারণ ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবি। এটা ততটা বিপদেরও নয়।
তবে সাধারণ ফ্লু ও করোনার উপসর্গে কিছুটা একইরকম হলেও পার্থক্য নিজেই বোঝা সম্ভব। তবে এই দুই ধরনের জ্বরের উপসর্গে এতটাই মিল যে, চিকিৎসকরাও হিমশিম খাচ্ছেন রোগ নির্ণয়ে।
অনেক সময়ই দেরি হচ্ছে অসুখ ধরা পড়তে। তাই রোগ নির্ণয়ের সুবিধার জন্যই জেনে রাখা ভালো, এই দুই ধরনের জ্বরের ধরনের মিল এবং অমিলগুলো কী
এই দুই ধরনের জ্বরের উপসর্গে এতটাই মিল যে, চিকিৎসকরাও হিমশিম খেয়ে যান রোগ নির্ণয়ে। অনেক সময়ই দেরি হচ্ছে অসুখ ধরা পড়তে।
তাই রোগ নির্ণয়ের সুবিধার জন্যই জেনে রাখা ভালো, সাধারণ ফ্লু ও করোনার মধ্যে পার্থক্য কী? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক পার্থক্যগুলো-
যেসব দিক থেকে সাধারণ ফ্লু ও করোনাভাইরাস এর মধ্যে মিল রয়েছে
> দুই ধরনের ফ্লু-ই ভাইরাসবাহিত।
> দুই রোগই সংক্রমণজনিত।
> মানবশরীর থেকেই ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।
> দুই ধরনের ফ্লু-ই সময় মতো সচেতন না হলে বা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করলে নিউমোনিয়ার দিকে বাঁক নিতে পারে।

সাধারণ ফ্লু ও করোনাভাইরাস এর মধ্যে পার্থক্য:
> সাধারণ ফ্লু ও করোনা দুটিই ভাইরাসঘটিত অসুখ হলেও দুই অসুখের ভাইরাস সমগোত্রীয় নয়। সাধারণ ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপে হয় আর কোভিড-১৯ হয় করোনা গ্রুপের ভাইরাসের কারণে।
> করোনাভাইরাস ছড়ায় অনেক দ্রুত। সে তুলনায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ছড়ায় অনেক ধীরে।
> ফ্লু ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে অসুখ দেখা দেয়। করোনার ক্ষেত্রে ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে অসুখ দেখা দেয়।
> সাধারণ ফ্লুয়ের ক্ষেত্রে জ্বর ১০৩ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যেতে পারে, তবে ওষুধের কাজ শুরু হলে তা নামতেও শুরু করে। করোনার ক্ষেত্রে জ্বর প্রবল হলেও নামতে চায় না সহজে। ওষুধও কাজ করে না।
> ফ্লু বোঝার জন্য কোনো আলাদা করে পরীক্ষার দরকার পড়ে না। কিন্তু করোনা কী, তা জানতে পলিমারেস চেন রিঅ্যাকশন বা পিসিআর পরীক্ষা করা হয়।
> সাধারণ ফ্লুয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাক্সিন রয়েছে। কিন্তু করোনা রোধে কোনো ভ্যাকসিনের সন্ধান এখনো পাননি গবেষকরা।