ছোট্ট একটি দেশ বারমুডা। ৬৩ হাজারের কাছাকাছি অধিবাসী। আর ছোট্ট এই দেশটাতেই আজ খুশির বন্যা বইছে। নিজেদের অলিম্পিক ইতিহাসে প্রথম স্বর্ণজয়ীর দেখা যে পেয়ে গেছে তারা। সোনার হাসি এনেছেন তাদের ঘরের মেয়ে ফ্লোরা ডাফি।
টোকিও অলিম্পিকে মেয়েদের ট্রায়াথলন ইভেন্টে সোনা জিতেছেন ডাফি। ৩৩ বছরের অ্যাথলেট ১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন প্রায় এক মাইলের মতো সাঁতারের পর, ২৫ মাইল সাইকেল চালিয়ে, শেষে ৪.৬ মাইল দৌড়ে নিজ ইভেন্ট শেষ করতে।
সাঁতার পর্ব শেষ করার সময় ষষ্ঠ অবস্থানে ছিলেন ডাফি। পরে সাইক্লিংয়ে কখনও এগিয়েছেন সবার আগে, কখনও পিছিয়ে পড়েছেন। ৪০ কিলোমিটার সাইক্লিংয়ের সময় খানিক ভুগতে হলেও, দৌড়ের সময় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন ৩৩ বছর বয়সী ফ্লোরা ডাফি। তাই শেষ হাসি হেসেছেনও তিনি ।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ড এগিয়ে ছিলেন তিনি। টাচলাইনে পৌঁছে কান্না আটকাতে পারেননি ৩৩ বছর বয়সী ফ্লোরা। প্রায় ৬৩ হাজার জনসংখ্যার দেশের প্রতিনিধি হয়ে জিতলেন অলিম্পিক গোল্ড। স্বর্ণ জিতে ফ্লোরা জানালেন, ‘আমার মনে হয় পুরো বারমুডা উন্মাদ হয়ে আছে, এটা অন্যরকম অনুভূতি। চাপ ছিল, গত পাঁচ বছরেও অলিম্পিকে আমাকে কেউ ফেভারিটের তালিকায় রাখতো না। অথচ এটাই এখন বাস্তব।’

বারমুডার ইতিহাসের প্রথম অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক জয়ী অ্যাথলেট এখন ডাফি। দেশটির মাত্র দুজন প্রতিযোগী আসতে পেরেছেন টোকিও পর্যন্ত। ১৯৭৬ আসরে ছেলেদের হেভিওয়েট বক্সিংয়ে জেতা ব্রোঞ্জ। সেটাই এতদিন ছিল তাদের একমাত্র পদক। ইতিহাস মুছেই ফ্লোরা ডাফি লিখলেন নতুন গল্প। এ গল্প স্বর্ণজয়ের গল্প।

মঙ্গলবার গেমসের চতুর্থ দিনে মেয়েদের ট্রায়াথলনের এ ইভেন্টে রুপা গেছে গ্রেট ব্রিটেনের ঝুলিতে, জর্জিয়া টেলর-ব্রাউন হয়েছেন দ্বিতীয়, মাত্র ৭৪ সেকেন্ডের জন্য। ব্রোঞ্জ জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেটি জাফেরেস।
এবারের অলিম্পিকের ট্রায়াথলনে পদক জেতা তিনজনের রয়েছে চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খেতাব। ডাফি জিতেছেন ২০১৬ ও ২০১৭ সালে। টেইলর জিতেছেন ২০২০ সালে আর ক্যাটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ২০১৯ সালে।
আরো পড়তে পারেন
একই দিনে ভাই বোনের অলিম্পিক স্বর্ণজয়!