শ্যাডো নিউজঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সারা বিশ্বে বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে এটি ১৯৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে! ভাইরাসটির কারণে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বন্ধ করা হলো ভারতের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ফ্লিপকার্ট ।
ই-কমার্স সাইট ফ্লিপকার্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা অস্থায়ীভাবে আমাদের সেবাগুলো বন্ধ করছি। যদিও আমরা শিগগিরই ফিরে আসার চেষ্টা করব। এটি একটি কঠিন সময়। এর আগে এমন হয়নি। আমরা অনুরোধ করছি আপনিও নিজের ঘরে থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন।
অন্যদিকে কোভিড-১৯এর কারণে ভারতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যে কারণে রেডমি নোট ৯ প্রো ম্যাক্স ফোনটি বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে। রেডমির পক্ষ থেকেও এই কঠিন সময়ে ঘরে নিরাপদে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। আজই এই ফোনের প্রথম সেল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। যদিও রেডমি নোট ৯ প্রো এর সেল চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও চীনা কোম্পানি ভিভো ও তাদের ভি১৯ ও রিয়েলমি নারজো ফোন দুটি রিলিজ করার কথা থাকলেও রিলিজের তারিখ পিছিয়ে দিয়েছে।

ফ্লিপকার্ট হল একটি ভারতীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। শচীন বানশাল এবং বিন্নী বানশালের হাত ধরে ২০০৭ সালে ফ্লিপকার্ট তার যাত্রা শুরু করেছিল। এই কোম্পানীটি খোলার আগে থেকে দুজন আমাজন ডট কমের কর্মচারী ছিলেন, প্রথমে তারা ওয়ার্ড অফ মাউথ (মৌখিক প্রচার) ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজের ব্যবসা জনপ্রিয়করণের ব্যব্স্থা গ্রহণ করেন।
বর্তমানে ফ্লিপকার্টে প্রায় ১১ লক্ষ বই রয়েছে। প্রথমে বই থেকে আরম্ভ হওয়া স্টোরটি ২০১০ সাল থেকে সিডি, ডিভিডি, মোবাইল ফোন, মোবাইল ফোনের বিভিন্ন সামগ্রী, কম্পিউটার ইত্যাদি নিজেদের তালিকাও অন্তর্ভূক্ত করে, ২০১১ সালে এই তালিকাও বিভিন্ন ঘরোয়া সামগ্রী যেমন রান্নাঘরের সামগ্রী, পড়ার ঘরের সামগ্রী, শরীর চর্চার সামগ্রী ইত্যাদি যোগ হয়। বর্তমান প্রতিষ্ঠানটিতে ৪,৫০০ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছে।