বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের টাকা উত্তোলনে ব্যাংক একাউন্ট তৈরির শিক্ষার্থীদের প্রদত্ত তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পাঠানোর সময়সীমা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ব্যাংক একাউন্টের তথ্য পাঠাতে পারবে।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ ও এর পূর্বের মেধা ও সাধারণ বৃত্তি, সংখ্যালঘু ও উপজাতি উপবৃত্তি, প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক উপবৃত্তি ও পেশামূলক উপবৃত্তির টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। বৃত্তির টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠাতে শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে তথ্য পাঠানো সময় শেষ হলেও তা আজ ফের বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গত ২০ জানুয়ারির মধ্যে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটে আপলোড করতে বলা হয়েছিল প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা নির্ধারিত সময়ে তথ্য পাঠাতে পারেননি বা পাঠাননি। তাই, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানোর সুযোগ দেয়া হবে।
এর আগেবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতিতে বৃত্তির টাকা পাঠানো বা তোলা সম্ভব হবে না বলেও জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র থেকে জানা যায়, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য পাঠাতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য একটি ছক প্রকাশ ও নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্ধারিত ছকটি ডাউনলোড করে তা শিক্ষার্থীদের তথ্য দিয়ে পূরণ করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত লিংকে https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLScd3-yviNit0C-qbrgW0ELnBM9v466htP_vZdedjg9IxotjRg/viewform আপলোড করতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর তথ্য আপলোডের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে অধ্যয়নরত কিনা তা নিশ্চিত হয়ে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। এ বিষয়ে কোনো ভুল হলে তার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। বৃত্তিপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থীর যদি পাঠবিরতি থাকে তাহলে শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ ছাড়া তার তথ্য পাঠানো যাবে না। এছাড়া অনলাইনে ব্যাংক হিসাব নম্বর পূরণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা জি-টু-পি এর আওতায় অনলাইন পদ্ধতি ছাড়া পাঠানো বা তোলা সম্ভব হবে না।