২০১৯-২০অর্থবছরের জন্য (১) সরকারি চাকরিতে ১১ থেকে ২০ গ্রেডে কর্মরত কর্মচারীদের ও (২)সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের যেকোন গ্রেডের অবসরপ্রাপ্ত/অক্ষম/মৃত ব্যক্তির সন্তানকে ষষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত অধ্যয়নের জন্য রাজস্ব বাজেট থেকে প্রাপ্ত অনুদান দ্বারা শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষাসহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (বিকেকেবি)।
বৃত্তির ধরনঃ বিকেকেবি এর আওতায় দুই ক্যাটাগরিতে বৃত্তি দেয়া হয়।
এগুলো হলো-
১. শিক্ষাবৃত্তি – যে সকল সন্তান প্রতি বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়ে গড়ে ৮০% বা তদূর্ধ্ব নম্বর পেয়েছে তাদের জন্য বর্ধিত হারে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
২.শিক্ষাসহায়তা – যে সকল সন্তান প্রতি বিষয়ে পাশ ও গড়ে ৫০% বা তদূর্ধ্ব কিন্তু ৮০% এর কম নম্বর পেয়েছে তাদেরকে শিক্ষাসহায়তা প্রদান করা হয়।
আবেদনের যোগ্যতাঃ | ১. প্রার্থীকে অবশ্যই সরকারি চাকরিতে ১১ থেকে ২০ গ্রেডে (পূর্বের ৩য় ও ৪র্থ গ্রেড) কর্মরত কর্মচারীর সন্তান হতে হবে।অথবা,সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত সংস্হার যেকোন গ্রেডের অবসরপ্রাপ্ত/অক্ষম/মৃত ব্যক্তির সন্তান হতে হবে। ২. ষষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে (স্নাতক/স্নাতকোত্তর) অধ্যয়নরত হতে হবে। ৩. বিগত একাডেমিক বা বোর্ড পরিক্ষায় প্রতি বিষয়ে পাশ ও গড়ে ৫০% বা তদূর্ধ্ব নম্বর থাকতে হবে। ৪. সর্বোচ্চ দুইজন সন্তানকে বৃত্তি দেওয়া হবে। তবে, পিতামাতা উভয়ই সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকলে শুধুমাত্র একজন সন্তানই শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। |
বৃত্তির পরিমাণঃ | এককালীন। যা রাজস্ব বাজেট থেকে প্রাপ্ত অনুদানের উপর নির্ভরশীল। |
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ | ১. বিগত বছরের বোর্ড/ টার্ম/ সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফলের মূল নম্বরপত্র এর সত্যায়িত ফটোকপি। ২. কর্মচারী অবসরপ্রাপ্ত হলে অবসর গ্রহনের আদেশের অথবা মৃত হলে মৃত্যুসনদের সত্যায়িত ফটোকপি। |
আবেদন প্রক্রিয়াঃ | শুধুমাত্র অনলাইনে (http://www.bkkb.gov.bd/) আবেদন করা যাবে। আবেদনের জন্য কোনো হার্ডকপি গ্রহন করা হবে না। ১. বিকেকেবির ওয়েবসাইটে গিয়ে মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। ২. ড্যাসবোর্ডে আবেদনকারীর ছবি সংযুক্ত করতে হবে। ৩. ফলাফলের সত্যায়িত কপি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে ৪. ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে “আবেদন সংরক্ষণ ও প্রিন্ট ” বাটনে ক্লিক করে ফরমটি প্রিন্ট করতে হবে। ৫. প্রিন্টকৃত আবেদন ফরমটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর ও সিল, কর্মচারীর স্বাক্ষর, কতৃপক্ষের স্বাক্ষর ও সিল এবং স্মারক নম্বর ও তারিখ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ ফরমের স্ক্যান কপি “সংযুক্তি” ধাপে যুক্ত করে “চূড়ান্তভাবে দাখিল করুন” বাটনে ক্লিক করে দাখিল করতে হবে। ৬. আবেদন সফলভাবে দাখিল হলে আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে আবেদন গ্রহনের ডায়েরি নম্বর ও তারিখ সম্বলিত একটি খুদেবার্তা আসবে। পরবর্তীতে আবেদনকারী একাউন্টে লগইন করে আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। |
আবেদনের শেষ সময়ঃ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রাত ১১ঃ৫৯ পর্যন্ত। |