করোনা যেমন পুরো বিশ্বকে নিশ্চুপ বনে পাঠিয়েছে, ঠিক তেমনি ক্রীড়াবিশ্বেও বিরাজ করছে নিরবতা, নিস্তব্ধতা। একে একে পিছিয়ে গেছে বৈশ্বিক টূর্ণামেন্টগুলো। শেষ ৫৫ দিনে ইউরোপে মাঠে গড়ায়নি কোনো ফুটবল ম্যাচ। এমতাবস্থায় বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্সে লিগ শেষ করে দেওয়া হয়েছে মাঝপথেই। তবে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য আশার খবর হল প্রিমিয়ার লিগ, সিরি আ, বুন্দেসলিগা, লা লিগা এখনও পুরোদমে পরিকল্পনা আটছে মাঠে ফেরার। এখন পর্যন্ত লিগ গুলোর বর্তমান পরিস্থিতি কেমন একটু দেখে নেওয়া যাক-
লা লিগা
লিগ শুরুর অফিশিয়াল কোনো দিন-তারিখ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ক্লাবগুলোকে অনুশীলনে ফেরানোর আগে খেলোয়াড়দের টেস্টিং চলছে। অ্যাথলেটিক বিলবাও ও রিয়াল সোসিয়েদাদও কোপা ডেল রের ফাইনাল খেলার পক্ষে রায় দিয়েছে। ধীরে হলেও পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে শুরু করেছে স্পেনে।
সিরি আ
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো প্রায় দুই মাস পর তুরিনে ফিরে গেছেন। ইতালিতে জরুরী অবস্থা অনেকটাই শিথিল। ক্লাবগুলো অনুশীলনের দিন-তারিখ নির্ধারণ করায় খেলোয়াড়রাও ফিরতে শুরু করেছেন। যদিও এই অনুশীলন চিরচেনা অনুশীলনের মতো কিছু হবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৬ জন খেলোয়াড় একসঙ্গে মাঠে থাকতে পারবেন। জুন ১৩ বা ২০ এ আবার সিরি আ শুরু হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে জোরেশোরেই।
বুন্দেসলিগা
অনুশীলন শুরুর পর এফসি কোলোনের ৩ জন খেলোয়াড় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাতে অবশ্য বুন্দেসলিগার অনুশীলন থেমে যায়নি। ওই খেলোয়াড়রা এখন আছেন কোয়ারেন্টিনে। নিয়মিত পরীক্ষা আর কোয়ারেন্টিন- এই দাওয়াইতে ভরসা বুন্দেসলিগার। বুধবার সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেত মিললে মে মাসে আবার শুরু হয়ে যেতে পারে বুন্দেসলিগা। স্কাই স্পোর্টসের মতে, ১৬ মে থেকে মাঠে গড়াতে পারে বুন্দেস লিগা।
প্রিমিয়ার লিগ
বাকিদের চেয়ে অবশ্য বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছে প্রিমিয়ার লিগ। প্রায় প্রতি সপ্তাহে ক্লাবগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক হচ্ছে লিগ কমিটির। শেষ আপডেট পাওয়া পর্যন্ত, নিরপক্ষে ভেন্যুতে খেলে এই মৌসুম শেষ করার একটি প্রস্তাবের কথা শোনা গেছে ইংলিশ মিডিয়ায়। তবে, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা হলে আবার রেলিগেশন থাকতে পারবে না বলে শর্ত দিয়েছে বেশ কিছু ক্লাব।রেলিগেশন বাদ গেলে শুধুমাত্র চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগের স্থান নির্ধারণের জন্য আবার লিগ শুরু কতোখানি যুক্তিসঙ্গত- সে প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে। এই শুক্রবার আবারও প্রিমিয়ার লিগের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। নতুন আরেক দফা সিদ্ধান্ত আসতে পারে সেখান থেকে।
তারপরও অপেক্ষা সরকারী সিদ্ধান্তের
লিগগুলো আবারও ফুটবল চালু করার জন্য সবরকম চেষ্টা চালিয়ে সফল হলেও অবশ্য লাভ হবে না। শেষ পর্যন্ত সরকারী আদেশ না মিললে আর লিগ শুরু করা যাবে না। ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসে যেমন সরকারী আদেশের পরই ২০১৯-২০ মৌসুম বাতিল করতে হয়েছিল। ইউরোপের বড় ৪ লিগের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে একই ঘটনা। তবে সরকারী সিদ্ধান্তে লিগ বাতিল হলে শেষ পর্যন্ত টিভি ব্রডকাস্টিং রাইটসসহ আরও বেশ কিছু স্পন্সরশিপের টাকা পুরোটাই পেতে যেতে পারে লিগগুলো।