শ্যাডো নিউজঃ বার্নাব্যুতে লা লিগায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ গত ছয় ম্যাচের একটিতেও হারেনি। তবে মাদ্রিদ ডার্বিতে অ্যাথলেটিকোর প্রতিপক্ষ গত ২০ ম্যাচ অপরাজিত থাকা রিয়াল মাদ্রিদ। তাই এ ম্যাচে জয় কিংবা ড্র কোনোটাই তাদের ভাগ্যে জোটেনি। উল্টো করিম বেনজেমার একমাত্র গোলে ১-০ স্কোরলাইন রেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সিমিওনের দলকে।
অথচ প্রথমার্ধ শেষে মনে হচ্ছিল আজও বার্নাব্যু থেকে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়বে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। কিন্তু সুযোগ মিসের কড়া মাশুল গুনতে হয়েছে অ্যাটলেটিকোকে। ১৯ মিনিটেই সলের শট একটুর জন্য চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে। তবে প্রথমার্ধে অ্যাটলেটিকো সবচেয়ে বেশি কাছাকাছি গিয়েছিল ২৪ মিনিটে। আনহেল কোরিয়াকে বলটা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ভিতোলো, কোরিয়া ডান প্রান্ত থেকে ভেতরে ঢুকে শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু কোণটা বেশি কঠিন হয়ে গিয়েছিল, পোস্টের বাইরের দিক থেকে লেগে ফিরে আসে বল। এরপরও কোরিয়া গোলের আরও ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন, আজে লাগাতে পারেননি। অবশ্য অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল হয়ে যেত এমনিতেও। এর মধ্যেই আসে ম্যাচের অন্যতম আলোচিত মুহূর্ত। কাসেমিরো বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে এসে পড়েন মোরাতার ওপর। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি, ভিআরও বদলায়নি। যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে, কাসেমিরোর সঙ্গে মোরাতার ‘কন্ট্যাক্ট’ হয়েছে। তবে সেটা পেনাল্টির জন্য যথেষ্ট কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো সংশয় রাখতে দেননি জিদান। ক্রুস আর ইস্কোকে উঠিয়ে নামান ভিনিসিয়াস আর ভাজকেজকে। রিয়াল যেন জাদুমন্ত্রের মতো বদলে গেছে এর পরেই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফ্রেডি ভালভের্দে আরেকবার দূর থেকে পরীক্ষা নিয়েছিলেন অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষকের। তবে অবলাককে পরাস্ত করার জন্য আরও ভালো কিছুর দরকার ছিল।
৫৬ মিনিটে সেই আরও ভালো কিছু পেয়ে যায় রিয়াল। তবে কারিগর বদলি ভিনিসিয়াস, তার দারুণ থ্রু খুঁজে নেয় ওভারল্যাপ করে ওপরে উঠে আসা মেন্ডিকে। বাঁ পায়ে যে দুর্দান্ত ক্রস করেছিলেন মেন্ডি, সেটা মার্কারকে ফাঁকি দিয়ে খুঁজে নেয় বেনজেমার পা। অত কাছ থেকে গোল করতে ভুল করেননি রিয়াল স্ট্রাইকার। প্রায় সাড়ে চার বছর পর লা লিগায় মাদ্রিদ ডার্বিতে গোল পেলেন করিম বেনজেমা। আর একটু অবিশ্বাস্যই মনে হবে, বার্নাব্যুতে লিগে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে এটি বেনজেমার প্রথম গোল।
এর মধ্যে চোট পেয়ে নেমে গেছেন মোরাতা, মরিয়া সিমিওনে নামিয়েছেন ক্যামেলো আর কারাসকোকে। কিন্তু শেষ দিকে আর কিছু করতে পারেনি অ্যাটলেটিকো।
এই জয়ে লিগে অপরাজিত যাত্রাটা আরেক দফা বাড়ল রিয়ালের। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে বার্সার সঙ্গে রিয়ালের দূরত্বটা এখন ৬ পয়েন্টের।