শহিদুল্লাহ সবুজ; মঞ্চ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু হলেও তিনি এখন একজন জনপ্রিয় নাট্য অভিনেতা। নাট্য অভিনেতা হিসেবে তাকে বেশি দেখা গেলেও চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। অভিনেতা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় এই মানুষটির জন্ম কুমিল্লায় হলেও বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই তাকে চিনে। বিভিন্ন নাটক টেলিফিল্ম, নাটকে অভিনয় করলেও চাটামঘর, ফুল এইচ ডি, ঘুমবাবু এবং সেই রকম চা খোর, ঝালখোর, সিরিজে তিনি অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শক মনে ঠাই করে নিয়েছেন।
তিনি তাঁর পেশাগত পছন্দের জায়গায় সবসময় সতর্ক, কারণ জীবন উপভোগ ও তা অর্থবহ করাই যে জীবনের লক্ষ্য।তবে কোন কাজকেই ছোট করে দেখেন না তিনি। সব কাজেই মনোনিবেশন করেন একনিষ্ঠ চিত্তে। সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে তার অভিনয় জীবনের শুরু ও শৈশবে কাটানো স্মৃতিময় দিনগুলো নিয়ে কথা বলেছেন শ্যাডো নিউজের সাথে। আর এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেহেদী হাসান।

❏ মহামারী করোনায় অন্যান্য কর্মকাণ্ডের ন্যায় অলস সময় কাটছে বিনোদন জগতেও, তো আপনার সময় কিভাবে কাটছে?
শহিদুল্লাহ সবুজ: এই সময়টা সম্পূর্ণ বাসায় থাকছি। বই পড়া – ব্যায়াম করা – বাসার সমস্ত কাজে হাত লাগানো (রান্না করা – আত্নীয় ও পরিজনদের নিয়মিত খোঁজ রাখা), এসব করেই সময় যাচ্ছে। নকসী কাঁথা সেলাই আর কিছু লেখার চেষ্টা করছি।
❏ আপনার জন্মস্থান, বেড়ে উঠা নিয়ে কিছু বলুন।
শহিদুল্লাহ সবুজ: জন্ম ও বেড়ে ওঠা কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার গুনাইঘর গ্রামে। জীবনের অসাধারণ সময়গুলো এখানেই কেটেছে, সারা জীবনের সুখ স্মৃতি গুলো বলতে গেলে এখানেই।
❏ জীবনে আরও অনেক পেশাই রয়েছে, অভিনয়েই বা কেন আসলেন?
শহিদুল্লাহ সবুজ: বন্ধুদের টানে – বন্ধুদের ধাক্কায়।
❏ আপনার অভিনীত প্রথম নাটক কোনটি?
শহিদুল্লাহ সবুজ: আজিজ মার্কেট শাহবাগ, নামের একটি ধারাবাহিক নাটক।
❏ অভিনয় জীবনে মজাদার কোন অভিজ্ঞতা পাঠকদের জন্য যদি কিছু বলতেন।
শহিদুল্লাহ সবুজ: ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে একটি ক্রাইম ফিকশনে অভিনয় করেছিলাম। কদাচিৎ দু একজন ছাড়া আমাকে কেউ চেনে না। সন্ধ্যায় মগবাজারে আড্ডা দিয়ে দুজন বন্ধু সহ ফিরছিলাম। মোড়ে একজন বয়স্ক ভদ্রলোক পথ আটকে দাড়ালো, গালি দিয়ে হাত ধরে রমনা থানায় দিকে নিয়ে যেতে চাইলেন। কারণ আমি আমার বউ পুড়ে মেরেছি। আমাদের স্বাভাবিক আচরণ ও কথা বলে বুঝলেন , যে আমি অভিনয় করি। পরে সরি বলে চলে গেলেন , আমিও সালাম দিয়ে চলে আসলাম।
❏ জীবনে যদি অভিনেতা না হতেন, কি হতেন?
শহিদুল্লাহ সবুজ: জানিনা, কারণ একেক সময় একেক পেশার প্রতি আগ্রহ তৈরী হতো। সব পেশা ই ভাল লাগে , তাই হয়তো অভিনেতা হওয়া। কারণ এখানে সব হওয়া যায়।
❏ আপনি তো দুইটির মত চলচিত্রে অভিনয়ও করেছেন। বড় পর্দা আর ছোট পর্দার মধ্যে পার্থক্য কতটুকু দেখেন?
শহিদুল্লাহ সবুজ: বড় পর্দা বড় আর ছোট পর্দা ছোট, এইটাই পার্থক্য। হা হা হা….।
আমি অভিনয় টা সব মাধ্যমেই উপভোগ করি। বড় পর্দায় প্রস্তুতি ভাল থাকে টিমলি, অনেক বাজেট – অনেক সময়। সুতরাং এখানে ভাল লাগাটা থাকবেই। আবার ছোট পর্দায় বা ক্লোজ আপ মিডিয়ায় কাজের অন্য মজা আছে । অনেক গল্প – অনেক চরিত্র – তাড়াতাড়ি প্রতিক্রিয়া।
❏ প্রতিবার ঈদে অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি ব্যাস্ত থাকেন, তো এবার ইদ কেমন ছিল?
শহিদুল্লাহ সবুজ: করোনা কালীন সময়ে মহামারী থেকে নিজেকে – পরিবারকে তথা দেশকে ভাইরাস মুক্ত রাখতে আমাদের আন্তঃসংগঠন গুলো সিদ্ধান্ত নিয়ে শুটিং বন্ধ করে দেয়, যেখানে আমরা সবাই স্বতস্ফূর্তভাবে সমর্থন জানিয়ে কাজ থেকে বিরত থাকি। যার কারনে একেবারেই ব্যস্ততা ছিল না।
❏ অভিনয় জীবনে প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি নিয়ে কিছু বলুন।
শহিদুল্লাহ সবুজ: প্রাপ্তি হচ্ছে গুণীজনদের সান্নিধ্য আর মানুষের ভালবাসা। তাছাড়া অপ্রাপ্তি পুরোটাই।
আপনার মতামত দিন