স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে যুবরাজ সিংয়ের ৬ ছক্কা, নেদারল্যান্ডের ড্যান ফন বাঙ্গের এক ওভারে হার্শেল গিবসের ৬ ছক্কা মারা কিংবা আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে মার্শাল আইয়ুবের এক ওভারে ৬ ছক্কা মেরে নাইম ইসলামের “ছক্কা নাইম” বনে যাওয়া- এ সবগুলো ঘটনাই ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে আমাদের রোমাঞ্চিত করে, আমাদের মনের রেকর্ডবুকে গেঁথে যায়। কিন্তু ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ওভারে ৬ ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েন কে? কোতূহল পাঠকমনে এটা নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করে? ১৯৩৮ সালের ২৪ আগস্টে ওয়েলসে অনুষ্ঠিত খেলায় কেন্টের অল-রাউন্ডার ফ্রাঙ্ক ওলি’র এক ওভার থেকে আর্থার ওয়েলার্ড পাঁচ ছক্কা হাঁকানোর বিশ্বরেকর্ড করেন। এর প্রায় ৩০ বছর পর, ১৯৬৮ সালে ম্যালকম ন্যাশের এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে এক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বিশ্বরেকর্ড গড়েন এবং সেটিই ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম এক ওভারে ৬ ছক্কা হাকানোর ঘটনা। পরবর্তীতে বাইশ গজের ক্রিকেটে রীতিমত তিনি ঝড় তুলেছেন, সবুজ মাঠে স্লো অর্থোডক্স, স্লো আনঅর্থোডক্স স্পিনিং দিয়ে তুলেছেন সুর, গড়েছেন একের পর এক রেকর্ড। বলা হচ্ছে স্যার গারফিল্ড সেন্ট আব্রাম সোবার্স বা গ্যারি সোবার্স এর কথা। যিনি টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের শত তারার মাঝে একটি সূর্য।

গ্যারি সোবার্স এর জন্ম ও শৈশব
বার্বাডোসের ব্রিজটাউন এলাকার ওয়ালকট এভিনিউতে শামন্ত ও থেলমা সোবার্স দম্পতির সন্তানরূপে ২৮ জুলাই, ১৯৩৬ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন গারফিল্ড সেন্ট অব্রান সোবার্স। তিনি ছিলেন পরিবারের ছয় সন্তানের মধ্যে পঞ্চম। জন্মকালীন সময়ে তার উভয় হাতেই দুইটি অতিরিক্ত আঙ্গুল ছিল যা শৈশবকালেই ধারালো ছোড়ার সাহায্যে অঙ্গচ্ছেদন করা হয়েছিল। পাঁচ বছর বয়সে জানুয়ারি, ১৯৪২ সালে তার বাবা সমুদ্রে ডুবে মৃত্যুবরণ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানদের ইউ-বোটের টর্পেডোর আঘাতই জাহাজডুবির কারণ ছিল। গ্যারি সোবার্সের পড়াশোনা শুরু হয় বার্বাডোসের বে সেন্ট স্কুল থেকে।
স্পিনার হওয়ার গল্প
বালক অবস্থায় গ্যারি সোবার্সকে অনুশীলনে বোলিং করার জন্য সাহস জোগাতেন ডেনিস অ্যাটকিনসন। বার্বাডোসের ওয়ান্ডেরার্স ক্রিকেট ক্লাবে ডেনিস অ্যাটকিনসন খেলতেন। তিনি স্ট্যাম্পের ওপর একটি সিলিং রাখতেন ও সোবার্সকে তা স্পর্শ করার কথা বলতেন। এ প্রসঙ্গে সোবার্স বলেছিলেন, সিলিং স্পর্শ করার সুবাদে তিনি নিজের কাছে তা রাখতেন। এভাবেই বামহাতি স্পিনার হিসেবে আবির্ভূত হন গ্যারি সোবার্স।

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু
১৯৫২-৫৩ মৌসুমে কেনসিংটন ওভালে বার্বাডোসের সদস্যরূপে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। শুরুতে তাকে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে মনোনীত করা হলেও ফ্রাঙ্ক কিং স্বেচ্ছায় নাম প্রত্যাহার করায় তিনি নিয়মিত একাদশে খেলার সুযোগ পান। এরপর ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫৩ তারিখে ১৬ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি অপরাজিত ৭* রান করলেও বোলিংয়ে চমক দেখান। উভয় ইনিংসে যথাক্রমে ৪/৫০ ও ৩/৯২ করেন। এক বছর পর তিনি দ্বিতীয়বারের মতো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় সফরকারী মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)’র বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেন। খেলায় তিনি ৪৬ ও ২৭ রান করার পাশাপাশি দুই উইকেট লাভ করেন। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃপক্ষ তাকে টেস্ট ক্রিকেটে অন্তর্ভুক্ত করে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক
৩০ মার্চ, ১৯৫৪ তারিখে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্যারি সোবার্সের টেস্ট অভিষেক ঘটে। কিংস্টনের সাবিনা পার্কে অনুষ্ঠিত ৫ম ও চূড়ান্ত টেস্টে আল্ফ ভ্যালেন্টাইনের পীড়াজনিত কারণেই তার অংশগ্রহণ। বোলার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ঘটলেও বার্বাডোসে অনুষ্ঠিত টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দূর্দান্ত ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। প্রথম ইনিংসের উদ্বোধনী ওভারেই উইকেট প্রাপ্তিসহ ৪/৭৫ লাভ করেন। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ১৪* ও ২৬ রান সংগ্রহ করেন। তারপরও ইংল্যান্ড ৯ উইকেটের ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে পরাজিত করেছিল।
সোবার্সের ব্যাটসম্যান রূপে আবির্ভাব
ক্যারিয়ারের প্রথম ৪ বছর ব্যাটসম্যান হিসেবে গ্যারি সোবার্সের পারফরম্যান্স তেমন একটা ভাল ছিল না। ১৬ টেস্টের ২৩ ইনিংসে ফিফটি ছিল মাত্র ৩টা, সর্বোচ্চ ছিল ৬৬! ‘ব্যাটসম্যান’ সোবার্সকে নিয়ে সবাই যখন মোটামুটি হতাশ, ঠিক তখনই মাত্র ২১ বছর বয়সে ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ হাঁকিয়ে তিনি ভেঙে দিলেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ২৮ বছরের পুরনো রেকর্ড। ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৩৪ রানের ইনিংস খেলার সময় ব্র্যাডম্যানের বয়স ছিল ২১ বছর ৩১৮ দিন। আর ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সোবার্সের ৩৬৫* করার সময় সোবার্সের বয়স ছিল ২১ বছর ২১৩ দিন। শুধু তাই নয়, সোবার্সের ৩৬৫* রানের ইনিংসটি ছিল টেস্ট ক্রিকেটের তৎকালীন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। যেটি খেলার পথে তিনি অতিক্রম করেছিলেন ইংরেজ কিংবদন্তি স্যার লেন হাটনের(১৯৩৪ সালে হাটন করেছিলেন ৩৬৪ রান) ২০ বছর ধরে টিকে থাকা বিশ্বরেকর্ড। এরপর ৩৬ বছর পর, ১৯৯৪ সালে রেকর্ডটি ভেঙে দেন সোবার্সেরই স্বদেশি কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। ৩৭৫ রান করে লারা টপকে যান পূর্বসূরিকে। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৪০০ রান করে লারা এখনো এই পর্বতের চূড়ায় রয়েছেন।

সোবার্সের ৩৬৫ রানের ‘মহাকাব্যিক’ ইনিংস সম্পর্কে উইজডেন লিখেছিল,
“His willow entered a phase of supreme brilliance that remained undimmed till the end.”
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ টেস্টের ওই সিরিজে ৩টি সেঞ্চুরিসহ সোবার্সের ব্যাট থেকে এসেছিল ৮২৪ রান!
পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজের পরপরই ভারত সফরে গিয়ে পেয়ে যান আরও ৩টি সেঞ্চুরি! সিরিজ সর্বোচ্চ ৫৫৭ রান এসেছিল সোবার্সের ব্যাট থেকেই! পরের বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে আবারও ৩ সেঞ্চুরি! ব্রিজটাউন টেস্টে স্যার ফ্রাঙ্ক ওরেলকে সাথে নিয়ে ৫ম উইকেট জুটিতে ৩৯৯ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়ার পথে পেয়ে যান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরিটাও (২২৬)। সাত শতাধিক (৭১৯) রান নিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটসম্যান হন আরও একবার।
ব্যাটিং রেকর্ড
টেস্টে আট হাজার রান করা প্রথম ব্যাটসম্যান সোবার্স। ১৯৭৪ সালে ১৫৭ ইনিংসে দাঁড় করানো আট হাজার রানের মাইলফলক দীর্ঘ ২৮ বছর ছিল দ্রুততম আট হাজার রানের রেকর্ড। যা ২০০২ সালে ভেঙে দেন শচীন টেন্ডুলকার (১৫৪ ইনিংস)। বর্তমানে এ রেকর্ডটি কুমার সাঙ্গাকারার (১৫২ ইনিংস) দখলে। তবে একটা জায়গায় সোবার্সকে পেছনে ফেলতে পারেননি কেউই। আট হাজারের অধিক রান করা ব্যাটম্যানদের মধ্যে তাঁর ৫৭.৭৮ গড়ই সবার ওপরে।

অধিনায়কত্ব প্রাপ্তি
১৯৬৫ সালে সোবার্সকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়। প্রথমবারের মত দায়িত্ব পেয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে ফ্রাঙ্ক ওরেল ট্রফির শিরোপা (২-১) এনে দেন সোবার্স। এরপর ১৯৬৬-৬৭ সালে ইংল্যান্ডকে ৩-১ এবং ভারতকে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করে সোবার্সের নেতৃত্বাধীন উইন্ডিজ। অধিনায়ক হিসেবে সোবার্স ছিলেন সাহসী এবং আত্মবিশ্বাসী এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। অধিনায়ক হিসেবে সোবার্সের পারফরম্যান্সও চোখে পড়ার মতো। অধিনায়ক হিসেবে তিন হাজারের অধিক রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল ব্রাডম্যান (১০১.৫১) এবং মাহেলা জয়াবর্ধনে (৫৯.১১) আছেন সোবার্সের (৫৮.৮০) ওপরে। অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ১০৮০৬০টি বল করেছেন সোবার্স। তবে ক্যাপ্টেন্সির শুরুর সাফল্যটা শেষদিকে আর ধরে রাখতে পারেন নি তিনি । ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে ত্রিনিদাদ টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেজাল্টের আশায় দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯২ রান তুলেই ইনিংস ঘোষণা করেন সোবার্স। ফলে শেষ দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১৫ রান। দুর্ভাগ্যক্রমে চ্যালেঞ্জটা হেরে যান তিনি। ৭ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংলিশরা। এই হারের জন্য সোবার্সকে গণমাধ্যমের কঠোর সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল।
ক্রিকেট থেকে অবসর
ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজে ব্যাট হাতে সোবার্সের সংগ্রহ ছিল ১০০ রান। তবে উইকেট পেয়েছিলেন ১৪টা। সোবার্স যখন অবসর নিলেন তখন তিনি টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (৮০৩২), দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরির (২৬) মালিক, দেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (২৩৫) এবং ফিল্ডার হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ক্যাচের (১০৯) মালিক।
ক্যারিয়ার রেকর্ড
১৯৭৪ সালে অবসরের আগ পর্যন্ত গ্যারি সোবার্স জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৯৩টি টেস্ট। ৫৭.৭৮ গড়ে করেছেন ৮,০৩২ রান। ২৬টি শতক আর ৫০টি অর্ধশতকে সাজানো ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৩৬৫! বল হাতে ৩৪.০৩ গড়ে নিয়েছেন ২৩৫ উইকেট। বোলিংয়ে সোবার্সের বিশেষত্ব ছিল অন্য জায়গায়। স্বল্প রান আপে তুলতে পারতেন গতির ঝড়, লেগ স্পিন ঘূর্ণিতে ভড়কে দিতেন প্রতিপক্ষ ব্যাটম্যানকে। কখনো কখনো একই ওভারে দুই রকমের বলই করতে দেখা যেত তাঁকে। ক্যারিয়ারে একটি মাত্র ওয়ানডে খেলেছেন সোবার্স। কোনো রান করতে না পারলেও একটি উইকেট নিয়েছিলেন সে ম্যাচে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৩৮ ম্যাচে ৫৪.৮৭ গড়ে করেছেন ২৮৩১৪ রান। ৮৬টি সেঞ্চুরি এবং ১২১টি হাফ সেঞ্চুরি। ২৭.৭৪ গড়ে নিয়েছেন ১০৪৩টি উইকেট। ৯৫টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে করেছেন ২৭২১ রান, নিয়েছেন ১০৯টি উইকেট।
পুরস্কার ও সম্মাননা
২০ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অসংখ্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন সোবার্স। একাধিকবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হন তিনি।

- ১৯৬৪ সালে উইজডেনের ‘ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন।
- ১৯৫৮-১৯৭০ সালের মধ্যে মোট ৮ বার উইজডেন ‘লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন সোবার্স। সর্বোচ্চ ১০ বার এই সম্মান অর্জন করেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান।
- ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে শীর্ষ অল-রাউন্ডার হবার সুবাদে ১৯৭০ সালে ক্রিকেট সোসাইটি ওয়েথেরাল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৪ সালে লাভ করেন ওয়াল্টার লরেন্স ট্রফি।
- ক্রিকেটে বিশেষ অবদানের জন্য ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
- ১৯৯৮ সালে বার্বাডোসের সংসদের জাতীয় বীরের মর্যাদা লাভ করেন।
- ২০০০ সালে ‘উইজডেন ক্রিকেট অব দ্য সেঞ্চুরি’র সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন ছিলেন সোবার্স। ১০০ জন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯০টি ভোট পান তিনি। তাঁর সঙ্গে বাকি চারজন হলেন ব্রাডম্যান, জ্যাক হবস, শেন ওয়ার্ন ও ভিভ রিচার্ডস।
- ২০০৪ সালে আইসিসি কর্তৃক প্রবর্তিত স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি তার নাম অনুসরণে রাখা হয়।
লেখক গ্যারি সোবার্স

স্যার গ্যারি সোবার্স ক্রিকেট বিষয়ক বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। ১৯৬৭ সালে ‘বোনাভেঞ্চার এন্ড দ্য ফ্ল্যাশিং ব্লেড’ শীর্ষক উপন্যাস এবং একই বছর জে.এস. বার্কারের সাথে যৌথভাবে ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট ইতিহাস’ নামের বই প্রকাশ করেন।

১৯৫৪ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত ক্রিকেট পরিসংখ্যান ঘাটলেই বোঝা যায়, গ্যারি সোবার্স কী দুর্দান্ত এক অলরাউন্ডার ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর সেরা ক্রিকেটার বললেও কোনো অর্থে ভুল হবে না। ক্রিকেটীয় বিশেষণে তিনি ছিলেন অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, অন্যতম সেরা বোলার এবং অন্যতম সেরা বোলার। এজন্য তাকে “শত তারার মাঝে একটি সূর্য” বলে আখ্যায়িত করা হলেও ক্রিকেটীয় বিশেষণে সেটি যৎসামান্যই থেকে যাবে।