শ্যাডো নিউজঃ সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বয়স ছাড় করে আদেশ জারি করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আদেশে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নিয়ে মোট ২১ মাস বয়স ছাড় দেওয়া হলো। এই ছাড় বিসিএসের জন্য প্রযোজ্য নয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, যেসব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও তার অধীন অধিদফতর, দফতর এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত বা জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠান করোনার কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) সরাসরি নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সেসব প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের বয়সসীমা গত বছরের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করতে হবে। অর্থাৎ গত বছরের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে, তারা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনের সুযোগ পাবেন।
সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের বয়সে ছাড় বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এমন প্রেক্ষাপটে নতুন দাবি আদায়ে চাকরিপ্রার্থীরা ২১ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন ও ২৭ আগস্ট শাহবাগে মহাসমাবেশের কর্মসূচিও দিয়েছে। তাদের দাবি, এই রেয়াত না দিয়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়িয়ে ৩০ থেকে ৩২ করা হোক। এটা কেউ কেউ ৩৫ করারও দাবি করছেন।
প্রসঙ্গত, দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছরই ঠিক আছে। শুধু করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের বিসিএস ছাড়া প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে অন্য ক্ষেত্রে।
‘চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্ম’-এর আহ্বায়ক মানিক হোসেন রতন বলেন, “করোনায় সব শ্রেণীর ছাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সবার জীবন থেকে দুই বছর চলে গেছে। তাদের সংখ্যা ৫০-৬০ লাখ। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যাদের বয়স ২৫ থেকে ২৭। কিন্তু সরকারের ঘোষিত ২১ মাসের সুবিধা পাবে শতকরা দুই-তিন ভাগ।”
তিনি বলেন, “সরকারি চাকরি মোট চাকরির মাত্র ১৬ ভাগ। বেসরকারি চাকরিতে এই বয়সের এই ছাড় পাওয়া যাবে কি না তাও স্পষ্ট নয়। আর বিসিএস বাইরে রাখা হয়েছে এই যুক্তিতে যে করোনার মধ্যে প্রতিবছরই একটি করে বিসিএস পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ২০১৯ সালের পরীক্ষা হয়েছে এ বছর। একটি বিসিএস পরীক্ষা পুরো শেষ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে তিন বছর লাগে। করোনার সময় সাড়ে চার লাখের মতো চাকরিপ্রার্থী তাদের বয়স হারিয়েছেন। তাদের ১৫-১৬ ভাগেরও বেশি ২১ মাসের সুবিধা পাবেন না। তারাই পুরো সুবিধা পাবেন, যাদের বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ৩০ বছর পার হয়েছে। তাই চাকরির বয়স বাড়িয়ে ৩২ বছর করার কোনো বিকল্প নেই।”
আরও পড়তে পারেন,
অ্যাডমিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট আয়োজিত অ্যাপ রিভিউ প্রতিযোগিতা