শ্যাডো নিউজঃ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এগিয়ে এলো দক্ষিন কোরিয়ার টেক জায়ান্ট স্যামসাং । তহবিল, চিকিৎসা সরঞ্জাম, কিটস, ফেস মাস্কের পাশাপাশি স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট দান করছে জনপ্রিয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।
স্যামসাং বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “কোয়ারেন্টিনে থাকা আক্রান্ত রোগীদের স্মার্টফোন দিচ্ছি যাতে তারা তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন। পাশাপাশি বায়ু বিশুদ্ধকরন এবং অন্যান্য সরঞ্জামগুলো হাসপাতাল এবং কোয়ারেন্টিন সেন্টারে সরবরাহ করছি।”
“আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ট্যাবলেটও দিচ্ছি যাতে শিশুরা শ্রেণিকক্ষে বাইরে থেকেও শিখতে পারে।” জানুয়ারির শুরুর দিকে আর্থিক ও সামগ্রী সাহায্যে স্থানীয় সরকার ও সমাজের মানুষদের মাঝে ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের সাহায্য দান করছে এমনটাই জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের নামি-দামি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যালয় ও দোকানগলো বন্ধ রেখেছে। যেকারণে বৈশ্বিক সরবরাহ যোগাযোগেও বেশ ঘাটতি পড়ছে।
স্যামসাং জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে স্বল্প সময়ের জন্য প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিল। পাশাপাশি এর দোকানগুলোও বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। কোম্পানির সুবিধার্থে প্রবেশের আগে কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং তাপমাত্রা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে স্যামসাং। এবং প্রতিদিন গভীরভাবে সব কিছু পরিস্কারও করছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্যামসাং জানিয়েছে, “তাদের প্রকৌশলীগন দক্ষিন কোরিয়ার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে ফেস মাস্ক তৈরি করতে কাজ করছে, কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং খসড়া উন্নত করে উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করছেন তারা।”
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা ফেস মাস্ক উৎপাদনের জন্য ছাঁচ তৈরি করছেন। তাদের প্রচেষ্টার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি কারখানায় আগের চেয়ে দ্বিগুণ পণ্য উৎপাদন করছে বলে জানিয়েছে।”
স্যামসাং দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বৃহত্তম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৩৮ সালে লি বিয়ং চল-এর হাত ধরে দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে তার যাত্রা শুরু করেছিল। মোবাইলের পাশাপাশি এপারেল, রসায়ন, ইলেক্ট্রনিক্স,ইলেকট্রিক কম্পোনেন্টস, মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি, জাহাজসহ বিভিন্ন পন্য উৎপাদন করে থাকে।