করোনা ভাইরাসে আতংকিত যখন গোটা বিশ্ব, দেশের বাজারে সুলভ মূল্যে মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া দুষ্প্রাপ্য হয়ে দাড়িয়েছে
ঠিক এমন সংকটাপন্ন মূহুর্তে সকল কে সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে নিজস্ব ল্যাবে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন এবং বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রস্তুত করেছে বুটেক্স ডাইস কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একদল শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী পাঁচজন হলেন ডাইজ এন্ড ক্যামিকেল বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের মোঃ তুষার আকন, জাকির হোসেন ইমরান, আশমি আশিক, জয়নাল জয় ও মোঃ আশিকুল ইসলাম।
তাদের মধ্যে জয়নাল বলেন, “করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ডিস্পেনসারিতে আপাতত পাওয়াই যাচ্ছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর চড়া দাম। তাই জনসাধারণকে সাহায্য করার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ।”
অপর এক শিক্ষার্থী আরো বলেন,”ইতোমধ্যে আমাদের স্যানিটাইজার তৈরির পরপরই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও স্যানিটাইজার প্রস্তুত ও বিনামূল্যে বিতরণ কর্মসূচি প্রণয়ন করছেন, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ”
সেক্ষেত্রে এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে গত এক সপ্তাহ ধরে চলা গবেষণার পর সীমিত পরিসরে প্রাথমিক অবস্থায়, ১০০ মিলিগ্রামের ৪০টি স্যানিটাইজার তৈরি করা হয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

আর এই কাজে সার্বিক তত্বাবধান এবং দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন একই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ” ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন” এবং সহকারী অধ্যাপক “ড. মোস্তাফিজুর রহমান” এবং এর ব্রান্ড নেম দেওয়া হয় ALOEZOL।
এই ব্যাপারে ডাইস এন্ড কেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক “ড. মোস্তাফিজুর রহমান
বলেন, “বাজারের বর্তমান হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলো অধিকাংশই আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল দিয়ে তৈরি। যা কৃত্রিম কেমিক্যাল ভিত্তিক। কিন্তু নতুন তৈরি এই সেনিটাইজার অ্যালোভেরা এবং ভিটামিন-ই এর সমন্বয়ে তৈরি।
প্রকৃতিক উপাদানের তৈরি হওয়ায় এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার অনেক বেশি কার্যকরী হবে এবং বাজারের বর্তমান স্যানিটাইজারের তুলনায় স্বল্প মূল্যে পাওয়া যাবে।”
বৃহৎ উৎপাদনে যাবেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ” আপাতত সংকট মোকাবেলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে প্রদানের জন্য তৈরী করা হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত সহযোগিতা এবং অনুদান পেলে বৃহৎ উৎপাদনে যেতে পারি।”