যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপের মধ্যেও ব্রিটেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদের ফাইভজি (5G) নেটওয়ার্ক পরিচালনা করবে চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের হুয়াওয়ের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধের জন্য চাপ দিয়ে আসছে।
তবে সে চাপকে পাশ কাটিয়ে সীমিত পরিসরে হুয়াওয়েকে ফাইভজি নেটওয়ার্ক পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোন সংবেদনশীল কিট যুক্তরাজ্যে ব্যবহার করতে পারবে না হুয়াওয়ে। তবে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্কিত ৩৫ শতাংশ কিট যেমন- ‘রেডিও মাস্ট’ ব্যবহার করতে পারবে। তবে যুক্তরাজ্যের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক সাইট অবস্থিত অঞ্চলে হুয়াওয়ে তাদের নেটওয়ার্ক পরিচালনার করতে পারবে না।
বিশ্বের সেরা ১০ ব্র্যান্ডের তালিকায় হুয়াওয়ে।
এদিকে বিশ্বের সেরা দশ ব্র্যান্ডের তালিকায় প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন ও স্ট্র্যাটেজি কনস্যালটেন্সি প্রতিষ্ঠান ‘ব্র্যান্ড ফাইনান্সের’ ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল ব্র্যান্ডস ২০২০’ নামের এ তালিকায় সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।
নানা বিতর্কের পরেও, চীনা প্রতিষ্ঠানটি অপ্রতিরোধ্যভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড ভ্যালু ধরা হয়েছে ৬৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার ফলে ভ্যালুয়েবল দশ ব্র্যান্ডের তালিকায় প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্বের ৫০০ প্রতিষ্ঠান নিয়ে করা এ তালিকায় ২০৫টি মার্কিন ব্র্যান্ড এ তালিকায় জায়গা করে নেওয়ায় দেশ হিসেবে সবার উপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই রয়েছে চীনের অবস্থান। দেশটির ৭০টি ব্র্যান্ড এ তালিকায় রয়েছে।
‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল সেক্টর’ হিসেবে অব্যাহতভাবে এগিয়ে থাকছে প্রযুক্তি খাত। এ তালিকার ৫০০টির মধ্যে ৪৬ টি ব্র্যান্ড প্রযুক্তি খাতের। গাণিতিক হিসাবে ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ১৪ শতাংশ দখলে রয়েছে খাতটির। প্রযুক্তি ব্র্যান্ডগুলোর সম্বন্বিত ব্র্যান্ড ভ্যালু দাঁড়াচ্ছে ৯৮৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শুধু হুয়াওয়ে সেরা দশ ভ্যালুয়েবল ব্র্যান্ডের তালিকায় রয়েছে।
ভবিষ্যতে জীবনব্যবস্থার সবক্ষেত্রে পদচারণার লক্ষ্যে অবিচল রয়েছে হুয়াওয়ে- উল্লেখ করে হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপের সিইও রিচার্ড ইউ বলেন, “আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের জন্য হুয়াওয়ে প্রধানত ‘অল-সিনারিও’ কৌশল বাস্তবায়নে মনোনিবেশ করবে। একটি সম্বন্বিত ইকোসিস্টেম তৈরির প্রতিশ্রুতিতে আমরা অবিচল রয়েছি।”