করোনাভাইরাসে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক না হলে আগামী ১০ মে থেকে পুঁজিবাজার লেনদেন কার্যক্রম শুরু করা হবে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এ নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ।
সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও ১০ মে থেকে পুঁজিবাজার লেনদেন কার্যক্রম শুরু দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অনলাইনে এক অনানুষ্ঠানিক পরিচালনা পর্ষদ আয়োজিত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শেয়ারবাজারে লেনদেন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সম্মতি সাপেক্ষে শুরু করা হবে।
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, লাখ লাখ মানুষের আয়ের প্রধান উৎস শেয়ারবাজার। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সঙ্গে এই বাজারও বন্ধ রয়েছে। এতে বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্রোকারেজ হাউজগুলো এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।
লাখ লাখ মানুষের আয়ের প্রধান উৎস পুঁজিবাজার। লেনদেন বন্ধ থাকায় এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো আয় নেই। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে। আন্যদিকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন। এছাড়া পুঁজিবাজার লেনদেন বন্ধ থাকার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হচ্ছে। তাই লেনদেন চালু করার বিষয়ে বৃহস্পতিবার ডিএসইর অনানুষ্ঠানিক পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় পুঁজিবাজার লেনদেন চালু করার সুবিধা-অসুবিধার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় বলে জানান ডিএসইর এই পরিচালক।
তিনি বলেন, এতে ডিএসইর ম্যানেজমেন্ট লেনদেন চালুর বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। সর্বোপরি আগামী ১০ মে থেকে লেনদেন চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ ইমন আরও বলেন, করোনাভাইরাসে সরকারি ছুটি বাড়লেও ওইদিন লেনদেন চালু করা হবে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হলে লেনদেন চালু করা সম্ভব হবে না। এজন্য সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ম্যানেজমেন্টকে আরেকটি রিপোর্ট তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। এরমধ্যে বিশেষভাবে ব্যাংকিং সময়ের স্বল্পতার সঙ্গে লেনদেন চালুর সম্ভাব্যতা, স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়, সিডিবিএলের সক্ষমতা, স্টক এক্সচেঞ্জের সক্ষমতা ইত্যাদি তুলে ধরার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া বিএসইসির সম্মতির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়া লেনদেন বন্ধ থাকার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হচ্ছে। তাই লেনদেন চালু করার বিষয়ে ডিএসই সিন্ধান্ত নেয়।