আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে টিকা সংক্রান্ত তথ্য সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছক আকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠাতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আগে টিকা সংক্রান্ত সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছক আকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) তথ্য পাঠাতে হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয় শতভাগ টিকার আওতায় আসবে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন হলসহ সব কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে টিকা প্রদান সাপেক্ষে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে খুলতে পারবে। এ বিষয়ে টিকাদানের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যেতে পারে। তার আগে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন তার তথ্য ছক আকারে ইউজিসিতে পাঠাতে হবে। তার মধ্যে কতজন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, কতজন এক ডোজ নিয়েছেন, অবসান হলের কতজন শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছে এ সংক্রান্ত তথ্য ইউজিসিতে পাঠাতে হবে।
জানা গেছে, সংক্রমণের হার ৭-৮ শতাংশ থাকলেও খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরইমধ্যে মাঠপর্যায়ে স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষকে যে কোনো সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে ক্লাস চলবে, সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল খুলে দিতে তোড়জোড় শুরু করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা দিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে অক্টোরব নাগাদ হলগুলো সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হতে পারে।
এর আগে, দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা শীঘ্রই ঘোষণা আসছে বলে গণমাধ্যমে জানানো হয়।
আরো পড়ুন,
৭ই সেপ্টেম্বর থেকে গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু
করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিল এনআরবিসি ব্যাংক
ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে ইউজিসি