শ্যাডো নিউজঃ “১১ বছর আগে জাতিসংঘের ডিজিটাল সার্ভিস ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১৬২ তম। আজ সেই ই-গভর্ন্যান্স ইনডেক্সে অবস্থান ১১৫। ২০২১ এর মধ্যে ৯৯ তম আসার লক্ষ্য রয়েছে” জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। রোববার রাতে অনুষ্ঠিত বেসিস এস্কপো-২০২০ সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এমন তথ্য জানিয়েছেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি।
সমাপনী অনুষ্ঠানে জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় আইসিটি বিভাগ ৫৬ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের কাছে গিয়ে কোন কোন সেবা ডিজিটাইজ করা দরকার তা চিহ্নিত করেছে এবং এর জন্য রোড ম্যাপ তৈরি করেছে। যেখানে ধাপে ধাপে ২০২১ এর মধ্যে সেবা ডিজিটাইজ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়।
ডিজিটাইজেশনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘যেসব সেবা ডিজিটাইজেশন করা দরকার সেই সফটওয়্যার সলিউশনগুলো বিদেশ হতে আমদানি করতে চাই না। আমাদের দেশের সমাধানগুলো আমাদের দেশীয় কোম্পানির মাধ্যমে করতে চাই’।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দু বছর আগে গভর্মেন্ট রিসোর্স প্লানিং পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নেয়া হয়েছিল। তখন অনেক বিদেশি কোম্পানি বলেছিল কেন তাদের সুযোগ দেয়া হচ্ছেনা।
তিনি তখন স্টেকহোল্ডারদের বলেছিলেন, এগুলো বেসিসের কোন একা না করতে পারে তাহলে পাঁচটি কোম্পানি মিলে করবে। এই ২৫ কোটি টাকার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের মধ্য দিয়ে তাদের যে সক্ষমতা তৈরি হবে তাতে আগামী দিনে ২৫০০ কোটি টাকার কাজের যোগ্য হয়ে উঠবে কোম্পানিগুলো।
তিনি বলেন, “নতুন নতুন স্কিলসেটের জন্য লিভারেজিং আইসিটি প্রজেক্ট নামে একটি কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। যেখানে তিন ধরনের ট্রেনিং দেয়া হয়। প্রতি বছর বের হওয়া ৫ থেকে ৬ লাখ গ্রাজুয়েটকে ট্রেনিং দিয়ে আইটি ইন্ডাষ্ট্রির জন্য রেডি করা হয়। যারা ইতিমধ্যে ম্যানেজারিয়াল পোস্টে রয়েছেন তাদের স্কিল আপস্কিল করা, ফাস্টট্রাক ফিউচার লিডার তৈরি করা”।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ২৫ টি মন্ত্রণালয়ের সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬০০ সেবা ডিজিটাইজ করা হয়েছে আরও ২২০০ সেবা ডিজিটাইজ করতে হবে।