অনেক দিনের অপেক্ষার পর আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে পাওয়া যাবে ই- পাসপোর্ট। গত বছর থেকে এর কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে এটার তারিখ শুধু পিছিয়েছে। অবেশেষে ২২ জানুয়ারী থেকে সাধারণ মানুষের জন্যে উন্মুক্ত হবে ই- পাসপোর্ট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করবেন। রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়।
ই- পাসপোর্ট এর ফলে মাত্র ৩০ সেকেন্ড এর মধ্যে ই- গেট পার করা যাবে কারণ এতে থাকবে পাসপোর্টধারীর দশ আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিশ এর স্ক্যান, এ ছাড়াও আরো অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য।
ই- পাসপোর্ট এর ফলে বাংলাদেশ এর পাসপোর্ট এর মান আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। এর ফলে সব তথ্য এখন ডিজিটাল ভাবে সংরক্ষণ করা হবে।
প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী এবং উত্তরা পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সর্বত্র ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে।
যা লাগবে ই-পাসপোর্ট করতে
ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯০০০ টাকা।
এছাড়া বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৭০০০ টাকা, জরুরি ফি ৯০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২০০০ টাকা।
নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতীব জরুরিতে ৩ দিনে, জরুরিতে ৭ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে পুরনো অথবা মেয়দোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে, জরুরি পাসপোর্ট ৩ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।