জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দ্বিতীয় বাড়ি বাংলাদেশ। আর তাইতো বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা খুবই পরিচিতি জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের। একই সূত্রে জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার কাছে খুবই পরিচিতি বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
বাংলাদেশ নিয়ে মাসাকাদজার আবেগের কারণ এটাই। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে আইসিসি বরখাস্ত করার পর বাংলাদেশ তাদের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে। আমন্ত্রণ জানিয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেওয়ার জন্য। ফলে ছন্নছাড়া জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট আশার আলোর দেখা পেয়েছে। আর মাসাকাদজাও পেয়েছেন মাঠ থেকেই বিদায় নেওয়ার সুযোগ।
মাসাকাদজা বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি এবং আমার হৃদয়ে বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। আমি এখানে অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি এবং অনেক বন্ধু পেয়েছি। আমি এখান থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এখানকার মানুষের ক্রিকেটের প্রতি আবেগকে আমি ভালোবাসি। এটা আমি দারুণ উপভোগ করি। বাংলাদেশে অনেকবার আসতে পারা এবং এখানকার সংস্কৃতি ও মানুষ সম্পর্কে জানতে পারা আমার জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ।’
প্রসঙ্গত,২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের সাথে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেলেন মাসাকাদজা।বিদায়ী সেই ম্যাচে বিশেষ জার্সি পরে খেলতে নেমেছিলেন মাসাকাদজা।
ম্যাচ শেষে বিসিবি’র কাছ থেকে পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননা আর স্মারক উপহার। উপহারে একটি ছিল ফ্রেমে বাঁধানো তার ক্যারিয়ারের স্মরণীয় কিছু মুহূর্ত। ফ্রেমে লেখা ‘থ্যাংকস মুধারা হ্যামি’ (জিম্বাবুয়ের ভাষায় এর অর্থ ‘পরিণত’)। এটা তার ডাক নাম, যা ক্যারিয়ারের শুরুতে পেয়েছিলেন।