বর্তমানে বাংলাদেশে ম্যারাথনের চর্চা ও জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বাড়ছে । নবীন, প্রবীন সবার কাছে ম্যারাথন এখন নিছক দৌড় নয় বরং নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখার, কর্মক্ষম থাকার চর্চাকে ছড়িয়ে দেবার এবং অনেকে মিলে ইতিবাচক জীবন উদযাপনের একটি অসাধারণ মাধ্যম। ইতিবাচক, সুস্থ্য ও কর্মক্ষম জীবন যাপন অনুশীলন ও উদযাপনের একটি দারুন মাধ্যম ম্যারাথন। এটি এমন একটি ক্রীড়া কর্মকান্ড যেখানে নবীন থেকে প্রবীণ বিভিন্ন বয়সের সকল ধরনের মানুষ অংশ নিতে পারেন এবং সকলে মিলে উদযাপন করতে পারেন।
এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, বর্তমানে বাংলাদেশে ম্যারাথন কর্মকান্ডক্রমশঃ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে বিভিন্ন রানিং ইভেন্ট (হাফ ম্যারাথন, ফুল ম্যারাথন, ট্রেইল ম্যারাথন, আলট্রা ম্যারাথন) আয়োজিত হচ্ছে; যা অত্যন্ত ইতিবাচক একটি ব্যাপার। আমাদের দেশের অসংখ্য নবীন, প্রবীন এথলেটদের কাছে কাছে ম্যারাথন এখন শুধু রেস নয় বরং এটি নিজেকে সুস্থ রাখার এবং কর্মক্ষম ও ইতিবাচক জীবনধারা উদযাপনের একটি চমৎকার মাধ্যম
এই ধারাবাহিকতায়, চট্টগ্রামের নামের সাথে জড়িয়ে থাকা চরমভাবে বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ -‘বোস্তামী কচ্ছপ’ রক্ষায় সামাজিক সচেতনতা তৈরীর প্রয়াসে “Save Bostami Turtles” শ্লোগান কে সামনে রেখে আমরা আগামী এপ্রিল মাসে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড় ও সবুজে ঘেরা অসাধারণ প্রকৃতির মাঝে “Chittagong Half Marathon 2020” শিরোনামে এমটি হাফ-ম্যারাথন আয়োজন করতে যাচ্ছে।

ম্যারাথন মুলত একটি সময়াবদ্ধ ‘ফুট রেস’ ধরনের ক্রীড়া যেখানে অংশগ্রহনকারীদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট দুরুত্ব অতিক্রম করতে হয়। ৪২.২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেসকে ফুল-ম্যারাথন এবং ২১.১ দৈর্ঘ্যের রেসকে হাফ-ম্যারাথন বলা হয়।
আয়োজনের তারিখঃ ১৭ এপ্রিল ২০২০। ভোর ৬ টা ৩০ মিনিট
ক্যাটাগরীঃ ২ টি (১০ কিলোমিটার রান এবং ২১.১ কিলোমিটার হাফ-ম্যারাথন)
অংশগ্রহণকারীদের সর্বোচ্চ সংখ্যাঃ ১৫০০ জন ( ১০ কিলো- ৭০০ জন, ২১.১ কিলো- ৮০০ জন) –

রেজিস্ট্রেশনঃ অনলাইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফি ও রেজিস্ট্রেশন চালু হবার তারিখ শীঘ্রই জানিয়ে দেয়া হবে “Chittagong Half Marathon” পেইজে।